
বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক কাওসার আলী শেখের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সবুজ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাক ও কর্মচারী সমিতি।
আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের মাধ্যমে এই প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
সবুজ বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কাওছার আলী শেখ গত ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দুর্নীতির মাধ্যমে যে টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের আয়ের খাতের এক কোটি ৪২ লাখ সাত হাজার ৪৮৯ টাকা এবং ব্যয়ের খাতে এক কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে গত শনিবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, শিক্ষকদের প্রভিডেন্ড ফান্ডের এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী আবুল কালাম অনু স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, কাওছার আলীর বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উল্লিখিত পরিমাণ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য দুই বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও জবাব পাওয়া যায়নি।
চিঠিতে আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও জাল সনদের মাধ্যমে নিজ আত্মীয়কে নিয়োগ, এমপিওভুক্তির আশ্বাসে টাকা আদায়, নারী শিক্ষকদের নিপীড়নসহ প্রতিষ্ঠানের কাজে সময় না দিয়ে জমি ব্যবসার মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এসব অভিযোগে ‘স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকগণের চাকরির শর্ত বিধিমালা-১৯৭৯’ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং উল্লিখিত পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
বিধি মোতাবেক কাওছার আলী খোরপোষ ভাতা পাবেন। তবে বিধি বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করায় সেখান থেকে ফেরত বা সমন্বয় করা হবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে জাতীয়করণের দাবিতে গত জুলাইয়ে ঢাকায় সারাদেশের শিক্ষকদের প্রায় মাসব্যাপী জমায়েতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কাওছার আলী। তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখ্য, সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. কাওছার আলী শেখকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এমএইচএসকে