
বাংলা নাট্যমঞ্চের শ্রেষ্ঠ ও বিশ্ব নাট্যমঞ্চের অন্যতম প্রধান নাট্যকার সেলিম আল দীন – নাসির উদ্দিন ইউসুফ
গত ১৪ জানুয়ারি (২০০৮) বিশিষ্ট লেখক ও নাট্যকার অধ্যাপক সেলিম আল দীন মারা যান। সেদিনই যোগাযোগ করা হয় তাঁর সবচেয়ে কাছের নাসির উদ্দিন ইউসুফের সঙ্গে। দুজনে ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক। শত ব্যস্ততার মাঝেও শোকাচ্ছন্ন নাসির উদ্দিন ইউসুফ সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন। ওইদিনই (১৪ জানুয়ারি ২০০৮) মধ্যরাতে তাঁর পল্টনের বাড়িতে বসেই কথা হল। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মুবিন খান।


মুক্তিযুদ্ধের ঠিক পরপরই সেলিম আল দীনের সঙ্গে নাসির উদ্দিন ইউসুফের সঙ্গে পরিচয়। যদিও দুজনে একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন কিন্তু সেভাবে পরিচয় ছিল না। সে সময় তাঁদের আড্ডা জমে উঠত মধুর ক্যান্টিন আর শরীফ মিয়ার ক্যান্টিনে। মধুর ক্যান্টিনে হত রাজনৈতিক আড্ডা। শরীফ মিয়াতে হত সংস্কৃতি ও শিল্পবিষয়ক আড্ডা। সেখানেই পরিচয় দুজনার। সেলিম আল দীনের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতি বিধৃত করলেন এইভাবে- ‘তুখোড় একটা যৌবনদীপ্ত মানুষ দেখলাম সাদা শার্ট প্যান্ট পড়া। সবকিছুকে চ্যালেঞ্জ করতে প্রস্তুত।’
১৯৭২ সালের প্রথম দিকে সেলিম আল দীনের প্রথম নাটক ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নির্দেশনা দেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। এ নাটকটি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আন্তঃহল শ্রেষ্ঠ নাটক, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা ও শ্রেষ্ঠ অভিনয় হিসেবে নির্বাচিত হয়। মূলত ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নাটক দিয়েই সেলিম আল দীন আর নাসির উদ্দিন ইউসুফের পথচলা শুরু। অনেকেই ওই নাটকটিকে বাংলাদেশের আধুনিক নাটকের গোড়াপত্তন হিসেবে অভিহিত করেন। অদ্ভুত নাটক ছিল সেটি। সংলাপের পরম্পরা নেই, দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরের কোনও ধারাবাহিকতা নেই। বাংলা নাটকের প্রচলিত ধারাকে ভেঙে। ঔপনিবেশিক ধারাকে পরিহার করে সেলিম আল দীন সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারার প্রবর্তন করেছিলেন সে নাটকে। অনেকটা অ্যাবসার্ড থিয়েটারের মতো। অ্যাবসার্ড থিয়েটারও বেশ জনপ্রিয়। হয়ত সেলিম সেটি দ্বারাই প্রভাবিত হয়ে লিখেছিলেন- বলছিলেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। নাটকটির নামই বলে দেয় যে, এটি ভিন্ন ধারার। টেলিভিশনে কিছু নাটক করা হল। যেমন- শেকড় কাঁদে জলকণার জন্যে, রক্তের আঙুরলতা ইত্যাদি। এই হল সেলিম আল দীনের সঙ্গে নাসির উদ্দিন ইউসুফের যাত্রা শুরুর কথা।
তারপর দুজনে দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর একসঙ্গে পথ চলেছেন। কাজ করে গেছেন। ইচ্ছে ছিল পঞ্চাশ বছর একসঙ্গে কাজ করে যাবেন। কথাও ছিল তা-ই। পনের বছর এখনও বাকি। কিন্তু সেলিম আল দীন চলে গেলেন। ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা থেকে বাংলা নাটকের যে ক্ষেত্রটি গড়ে উঠেছিল সেগুলোকে পরিহার করে আমাদের যে নিজস্ব লোক আঙ্গিক, শিল্পরীতি ও শিল্প আঙ্গিক রয়েছে, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে আধুনিক শিল্পচর্চা করার অভিপ্রায়েই সেলিম আল দীন আর নাসির উদ্দিন ইউসুফ পথ চলতে শুরু করেছিলেন। সে কারণে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ দিয়ে শুরু হলেও তাঁরা সেখানে থেমে থাকেন নি। সংবাদ প্যাটার্নেও থামেন নি। ‘৭৩ সালে মঞ্চায়িত ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’কে মিউজিক্যাল কমেডি বলা হলেও আঙ্গিক ও পরিবর্তনটা লক্ষ্যনীয়। পরবর্তী সময়ে ‘শকুন্তলা’ হয়ে শেষ অবধি ‘কিত্তনখোলা’য় এসে সেটি আরও স্পষ্ট হয়। পালাগানে যেমন সংলাপ, বর্ণনা, কাব্য, গান, নাচ ইত্যাদি পাওয়া যায়, ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’তে দর্শক সেগুলো দেখল। অর্থাৎ সেলিম আল দীন তখন থেকেই একটা বাঁক নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। ‘৮১ সালে ‘কিত্তনখোলা’র মধ্য দিয়ে তিনি সে বাঁকটি সফলভাবে নিতে পেরেছিলেন বটে।
সাধারণত নাটকে আমরা কি দেখি? নাটক হয় মানুষ নিয়ে। এবং চরিত্র হয় মানুষের চরিত্র। সে চরিত্রগুলোকে আমরা প্রায়শ চিনি। সেলিম আল দীন নিশ্চিতভাবেই রবীন্দ্রনাথকে পর্যবেক্ষণ করেছেন গভীরভাবে। রবীন্দ্রনাথ পাঁচালীর যে আঙ্গিক বাংলা নাটকে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, তিনি পাঁচালী ও মঙ্গলকাব্য নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। খেলেছেন দুটোকে নিয়ে। সেলিম আল দীন বলতেন, ‘মানুষের অনেক কিছু থাকে। বিশাল এই পৃথিবীতে মানুষ একা নয়। তার আর কে থাকে? তার মাটি থাকে। মাটি থেকে যে শেকড় বের হয়, তা থাকে। বৃক্ষ থাকে, জল থাকে, জলের নিচে যে বাস করে মাছ, প্রাণীকুল, তারা থাকে। এই পৃথিবীতে যে বৃক্ষ আছে, তার কথা কি আমি লিখব না? তারা কি মানুষের সঙ্গে কথা বলে না? যে প্রাণীকুল আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় তারা বলে না? মানুষ কি এতই নিঃসঙ্গ পৃথিবীতে? তার জীবনপ্রবাহ কি কেবল দু চারটা মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? এটা সত্য হলে তো মানুষ মরে যেত। বাচ্চু (নাসির উদ্দিন ইউসুফের ডাকনাম) নাটক হয় নি এতদিন। আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। লিখতে হবে নতুন করে। চল্, আমরা ভাবি এরাও নাটকের পাত্র-পাত্রী।’
ফলে ‘কেরামত মণ্ডল’, ‘কিত্তনখোলা’ বা ‘হাতহদাই’য়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে, পোকামাকড় নাটকের চরিত্র হয়ে গেছে। এইভাবে জীবনপ্রবাহকে কেউ দেখে নি। মানুষের জীবনপ্রবাহ প্রকৃতির সবকিছুর সঙ্গে এমনকি ছোট্ট পিঁপড়ার সঙ্গেও মানুষ সম্পর্কযুক্ত। এই সম্পর্কগুলো নির্ণয় করে সেলিম আল দীন নাটকের মধ্যে সাজিয়েছেন। তাঁর ভাষা বোঝে না সবাই। তাঁর লেখা মূলত ন্যারেটিভ। কোনও সংলাপ নেই। সংলাপটা নাট্যরূপকার তাঁর টেক্সট থেকে বের করে নিয়ে আসতেন। আমাদের রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ কেউ খেয়াল করলাম না এতবড় একটা মানুষ এদেশে এসেছিলেন- বলেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। সঙ্গে যুক্ত করেন যে তিনি মনে করেন শতবর্ষে আরেকজন সেলিম আল দীন আসবে না। সেলিম আল দীনের নাটক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গবেষণা হচ্ছে। পিএইচডি করছে। অধ্যাপক অরুণ সেন সেলিম আল দীনের ওপর বিশাল বই লিখেছেন। কোলকাতার নাট্যদলগুলো ঔপনিবেশিক ধারার প্রচুর নাটক করেছে। তাদের ইংরেজি থিয়েটারের একটা প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তারা নতুন কিছু খুঁজছিল। সেলিম আল দীন ছিল ওদের কাছে নতুন।
অন্যদিকে আমাদের নাটকে ঔপনিবেশিক যে ধারা বিরাজ ছিল, সেটার মাঝেই অগ্রসর একটা কাজ করতে চাইছিলেন দুই সুহৃদ সেলিম আল দীন আর নাসির উদ্দিন ইউসুফ। যেখানে অন্যরা ভাবছে কেন আমরা হাজার বছর পেছনে যাব, সেখানে সেলিম আল দীন হাজার বছর পেছনে চলে গেছেন উৎসের সন্ধানে। শেকড়ের সন্ধানে। সেলিম আল দীন দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর হেঁটে বেরিয়েছেন গ্রামে গ্রামে। নাসির উদ্দিন ইউসুফও তাঁর সঙ্গী হয়েছেন বহুবার। ফিরে এসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের ঘরে বসে নিঃসঙ্গ নির্জনে বসে লিখতেন। তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এত মুখর ছিল না। সন্ধ্যার পর আলো জ্বলত না। তিনি ছোট্ট আলোর নিচে বসে লিখে গেছেন। কে খেয়াল করেছে এগুলো? কেউ না। আক্ষেপ ঝরে নাসির উদ্দিন ইউসুফের কন্ঠে। বললেন, এটা এই জাতির দুর্ভাগ্য যে, সেলিম বেঁচে থাকতে তাঁর লেখা অনুবাদ করতে কেউ এগিয়ে আসে নি।
সেলিম আল দীন ঢাকা শহরে বাস করতে পছন্দ করতেন না। তিনি থাকতেন সাভারে। ঢাকা শহরকে তাঁর অসহ্য মনে হত। ঢাকা শহরকে তিনি বলতেন প্রাণহীন কংক্রিটের একটি জঙ্গল। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে জেগে গাছের কাছে যেতেন। গাছের পাতায় লেগে থাকা শিশির দুহাতে নিয়ে চোখে মাখতেন। শিশিরগুলোকে তিনি বলতেন সৃষ্টিকর্তার জল।
ঢাকা থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ২৯ জুলাই। প্রতিষ্ঠাতারা হলেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ম. হামিদ এবং সদ্য প্রয়াত সেলিম আল দীন। তাঁর রচিত ঢাকা থিয়েটার নির্দেশিত নাটকগুলোর অন্যতম হল, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, চাকা, প্রাচ্য, শূল, নিমজ্জন ইত্যাদি। শুধু নিমজ্জনের নাট্যরূপ দিতেই নাসির উদ্দিন ইউসুফের সময় লেগেছে চার বছর। আরও পাঁচটি নাটক হাতে আছে। স্ত্রী শিমুল ইউসুফ বলছিলেন, ‘বাচ্চু তুমি সেলিম আল দীনকে ঋণী করতে পারবে না। নিমজ্জন করতেই তোমার চার বছর লেগেছে। এর মধ্যে তিনি আরও পাঁচটি নাটক লিখেছেন। সেগুলো করতেই তো তোমার দশ বছর লেগে যাবে।’
আসলেই সেলিম আমাদের ঋণী করে গেছেন। সেলিমের সেলিমের সংস্পর্শে এসেই শিমুল ইউসুফ আজকের শিমুল ইউসুফ হতে পেরেছেন। গড়ে উঠেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, আফজাল হোসেন, হুমায়ুন ফরীদি, জহিরুদ্দিন পিয়ার, সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, রোজী সিদ্দিকী, নাসরিন নাহার, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুভাষিশ ভৌমিকসহ এমনি অসংখ্য পরিচিত নাম। সেলিম আল দীন বলতেন, মানুষের দুই চোখ আর শিল্পীর হাজার চোখ।
সেলিম আল দীন ছিলেন একাধারে বাংলা মঞ্চের শ্রেষ্ঠ এবং বিশ্ব নাট্যমঞ্চের অন্যতম প্রধান নাট্যকার। রবীন্দ্র-উত্তরকালে শ্রেষ্ঠ লেখক। রবীন্দ্র-উত্তরকালে এতবড় লেখক আর আসেন নি। রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বাস করেই সেলিম এই পথে এসেছিলেন। তিনি বলতেন, রবীন্দ্রনাথ শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি ছিলেন রবীন্দ্র-উত্তরকালে বাংলা নাটকের মঞ্চে নতুন যুগের স্রষ্টা। তাঁর ভাষায় একটি ধ্রুপদী দ্যোতনা লক্ষ্য করা যায়। তাঁর গদ্যের ভাষা কারও সঙ্গেই মেলে না। অন্য সবার চেয়ে আলাদা। এটি পদ্মা পাড়ের ভাষা। বাক্য গঠনরীতি একেবারেই স্বতন্ত্র।
সেলিম আল দীন মারা যাওয়ার তিনদিন আগে নাসির উদ্দিন ইউসুফকে ফোনে বলেছিলেন তাঁর টনসিলের ব্যথা এবং জ্বর। লাঙ কন্ডিশনও ভালো না। ডাক্তার দেখিয়েছেন। অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। শুক্রবার হাসপাতালে গিয়ে চেকআপ শেষে ফোনে জানান, লাঙ এবং পেটে একটু সমস্যা আছে। পরদিন ডাক্তার আনিসুর রহমানের সঙ্গে দেখা করবেন। যদি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাহলে যেন নাসির উদ্দিন থাকেন। পরদিন নাসির উদ্দিন ইউসুফ ধামরাইয়ের দিকে গেছেন। ফেরার পথে ভাবলেন সেলিম আল দীনের সঙ্গে দেখা করে যাবেন। ফোন করলেন গাড়িতে বসেই। সেলিম জানালেন তাঁর শরীর খারাপ লাগছে তাই বারডেম যাচ্ছেন।
নাসির উদ্দিন তাঁর গাড়িকে ফলো করে পৌঁছলেন বারডেমে। ভর্তি করলেন সেলিম আল দীনকে। তাঁকে দেওয়া হল ১১০১ নম্বর কক্ষ। তখন তাঁর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। হাঁপানি আছে কিনা ডাক্তার পরিক্ষা করলেন। একটু পর বললেন, বুকে ব্যথা। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হল ল্যাবএইডে। সেখানে ঘুমিয়ে যাওয়া পর্যন্ত নাসির উদ্দিন ইউসুফের সঙ্গে কথা বলেছেন। বলেছিলেন, ‘কাজটা তো শেষ হল না। অনেক কাজ বাকি রয়ে গেল বাচ্চু।’
নাসির উদ্দিন বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই করব।’
সেলিম আল দীন বললেন, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি তার এপাশ আর অপাশ মৃত্যু।’ শিমুল ইউসুফের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘গুডবাই শিমুল।’
সেলিম আল দীনের নাটকের বিষয় হত মানুষ, প্রকৃতি, রাষ্ট্র, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সহমর্মিতা। যুদ্ধ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য। তিনি বলতেন এই সভ্যতা অমানবিক। কেননা মানুষ এখনও মানুষকে হত্যা করছে। সেলিম আল দীনের হাত ধরে এসেছেন কয়েক শ’ লেখক আর কয়েক হাজার নাট্যকর্মী। তাঁরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেলিম আল দীনের অসমাপ্ত কাজকে। সেলিম আল দীন যদি আর দশটি বছর লিখতে পারতেন, কাজ করতে পারতেন, তাহলে বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে যেত। এই সময়ে সেলিম আল দীনের চলে যাওয়ার কথা নয়। যদি তিনি নিজে চলে গিয়ে থাকেন তবে খুবই অনুচিত কাজ করেছেন। আর যদি ঈশ্বর তাঁকে নিয়ে গিয়ে থাকেন তবে তিনি কাজটি ঠিক করেন নি।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর এই সাক্ষাৎকারটি প্রয়াত সেলিম আল দীনের প্রয়াণের দিন ১৪ জানুয়ারি ২০০৮ সালে নেওয়া হয়েছিল। এটি ১৮ জানুয়ারি ২০০৮ দৈনিক আমার দেশ-এর সাহিত্য সাময়িকী সাতকাহন-এ প্রকাশিত।