‘বাস্কেট কেস’ কথাটি কে প্রথম বলেছিলেন
১৯৭১ সালের ০৬ ডিসেম্বর। ওয়াশিংটনে দক্ষিণ এশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক চলছে। বৈঠকে মূলত পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল। এতে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশে বড় ধরনের খাদ্যসংকট হবে। একপর্যায়ে বাংলাদেশকে ‘বাস্কেট কেস’ বলে অভিহিত করা হয়।
পরবর্তীতে এ নিয়ে তৎকালীন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারের বহু সমালোচনা হয়। তবে কথাটা তার নিজের ছিল না। এটা বলেছিলেন ইউ এলেক্সিস জনসন, যাতে সায় দিয়েছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার।
বৈঠকে মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল উইলিয়াম ওয়েস্টমোরল্যান্ড বলেন, ১৯৭২ সালের মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে আরো অনেক ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। এ সময় জাপানে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউ এলেক্সিস জনসন বলেন, সেটা (বাংলাদেশ) হবে একটা ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস, যেখানে বৈদেশিক সহায়তার কোনো হিসাব-নিকাশ থাকবে না।
এ সময় এলেক্সিস জনসনের সঙ্গে সুর মেলান হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ শুধু আমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বাস্কেট কেস না। ওই সভায় উপস্থিত সবার চেয়ে পদাধিকারে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। সেই থেকে লোকমুখে চালু হয়ে যায়, হেনরি কিসিঞ্জারই প্রথম বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অপবাদ দিয়েছেন।
১৯২৩ সালের ২৭ মে জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে জন্ম নেন হেনরি কিসিঞ্জার। পরে তার পরিবার পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যায়। ওই শহরেই বেড়ে ওঠেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। গতকাল বুধবার ১০০ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে মৃত্যুবরণ করেন।