মুক্তমত

বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্ব হুমকির মুখে

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বরাজনীতিতে দেশটির একক কর্তৃত্বের যে ক্ষতি করে গিয়েছিলেন, জো বাইডেন তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেও যেন সাফল্যের মুখ দেখছেন না। দিন যতই গড়াচ্ছে বিশ্বরাজনীতির অঙ্ক যেন ততই জটিল আকার ধারণ করছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে পুঁজি করে যা-ও কিছুটা এগিয়ে যাবে ভেবেছিলেন, এখন পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থানেই থাকতে পারবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বর্তমান বিশ্ব যেন দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে। সত্তর ও আশির দশকের মতো বিশ্ব যেন স্নায়ুযুদ্ধের যুগে প্রবেশ করছে। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি অবস্থান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়া, চীন-রাশিয়ার সম্পর্কের উষ্ণতা পুরো বিশ্বকে যেন আবার বিভক্ত করছে। এরই মধ্যে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান-সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন বিশ্বরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব হিসাব-নিকাশ ওলট-পালট করে দিয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। পশ্চিমা বিশ্বকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একদিকে অবস্থান, চীন-রাশিয়াসহ তাদের মিত্রদেশগুলো ঠিক তার বিপরীতে অবস্থান করছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর শক্তিমত্তা যুক্তরাষ্ট্রের পেছনেই যেন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্ব পরিস্থিতি যে এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে, কিছুদিন আগেও হয়তো ভাবতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটতে চলেছে, তা যেন বিশ্বরাজনীতিকে কিছুটা ওলট-পালট করে দিয়েছে। ওদিকে তাইওয়ান নিয়ে সাম্প্রতিক উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির দিকেও যুক্তরাষ্ট্রকে নজর রাখতে হচ্ছে।

এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের একচ্ছত্র বাজার হারানোর আশঙ্কা। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর সৌদি আরব ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পেট্রোডলারে তেল রপ্তানির চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। তারা ইউয়ানের বিনিময়ে চীনে তেল রপ্তানি করবে বলে শোনা গেছে। তা ছাড়া ইরান ও সৌদি আরব উভয় দেশই ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা সম্মিলিতভাবে নিজস্ব মুদ্রার বিনিময়ে বাণিজ্য করার জন্য ‘ব্রিকস’ নামে যে বাণিজ্যিক জোট গঠন করেছে, সেই সংগঠনে যোগ দেবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। যদি তা-ই হয়, বিশ্ববাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ভালোভাবেই মার খাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

১৯৭৪ সালে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তেল রপ্তানির বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির মাধ্যমে ডলারকে পেট্রোডলারে রূপ দেওয়া হয়। পেট্রোডলার মূলত ডলারের বিনিময়ে পেট্রল ক্রয়ের চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরবকে বাধ্য করা হয় ডলারকে সার্বভৌম বিশ্বমুদ্রা হিসেবে মেনে নিতে। এর অর্থ হলো, পেট্রল কেবল ডলার দ্বারাই ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সৌদি রাজপরিবারের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে আরও একটি দায়িত্ব দিয়েছিল—তা হলো, ওপেকভুক্ত সব দেশকে রাজি করানো, যাতে অন্যরা ডলার ছাড়া অন্য কোনো মুদ্রার বিনিময়ে তেল বিক্রি না করে। যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই নিশ্চিত করতে চেয়েছে কোনো দেশ যেন এই ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে না যায়। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে চলে যায়।

ডলার হয়ে ওঠে বিশ্ববাণিজ্যের আন্তর্জাতিক মুদ্রা। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের নেতৃত্বে সৌদি আরব নতুন যুগে প্রবেশের মুখে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের মধ্যে এই ভাগাভাগি, হানাহানি তাঁদের শুধু পিছিয়েই দিচ্ছে না, অর্থনৈতিকভাবেও তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তা ছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানমূলক মনোভাব ধারণ করা, কথায় কথায় তাদের হেয়প্রতিপন্ন করার বিষয়গুলো আরব রাষ্ট্রগুলো ভালো চোখে দেখেনি। তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। বেরিয়ে আসতে হলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো, নিজেদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে ঐক্যের প্রথম ধাপ তারা অতিক্রম করেছে বলে বিশ্ব রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইরান ও সৌদি আরব ইয়েমেন যুদ্ধের অবসানের সাম্প্রতিক যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা তাদের ঐক্য প্রতিষ্ঠারই নিদর্শন বলা চলে।

চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে সন্দেহ নেই। যুক্তরাষ্ট্রকে অন্ধকারে রেখে হঠাৎ করে এমন একটি কূটনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরে চীনের সংশ্লিষ্টতার ঘটনা বেশ অস্বাভাবিকই ঠেকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের কাছে। এমন এক সময় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা ইরানের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়াচ্ছিল। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম থেকেই রাশিয়ার পক্ষ অবলম্বন করে আসছিল ইরান। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়াকে কামিকাজি ড্রোন দিয়ে সহায়তাও করেছে দেশটি। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরে চীনের ভূমিকার কারণে এখন ইরান বিশ্বাস করতে পারবে যে তারা আরও একটি বড় পরাশক্তির সহায়তা পাবে।

এটি তাদের ওপর থাকা পশ্চিমা চাপ সরিয়ে দিতে সাহায্য করবে। চীনের মধ্যস্থতায় ইরান-সৌদি চুক্তির ঘটনা তাদের ক্রমবর্ধমান শক্তি-সামর্থ্য ও প্রভাব বিস্তার ঘটিয়েছে এবং এ বিষয়টি বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি ক্রমেই সংকুচিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কূটনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরে ভূমিকা রেখে চীন যে বার্তাটি দিয়েছে তা হলো, উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে অধিকতর শক্তিশালী হলেও, চীনও তাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি বাড়িয়ে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

ওদিকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো সম্ভবত উপলব্ধি করার চেষ্টা করছে, যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের ক্ষতি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুসারী না হয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরে এসে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সম্প্রতি যে একটি বিস্ফোরক বিবৃতি দিয়েছেন তা গুরুত্ব বহন করে বৈকি।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধংদেহী নীতি গ্রহণ করেছে, তা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তিনি ৯ এপ্রিল মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকোকে বলেছেন, ‘পশ্চিম ইউরোপের অবশ্যই কৌশলগত স্বাধীন নীতি অনুসরণ করা উচিত এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যে সংকট আমাদের নয়, তাতে জড়িয়ে পড়লে ইউরোপের সামনে বিরাট বড় ঝুঁকি চলে আসতে পারে।’ তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমরা নিতান্তই আমেরিকার অনুসারী, কিন্তু তাইওয়ান সংকটে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কি আমাদের স্বার্থে? আমাদের জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে যদি আমরা এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করি।’ প্রেসিডেন্ট মাখোঁ ইউরোপকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বন্দ্বে না জড়ানোর আহ্বান জানান।

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে ইইউ এখনো সাড়া দেয়নি। ইইউ এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনকে কোণঠাসা করুক, সে আশা ব্যক্ত করেও কোনো সাড়া পাননি প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ইইউ খুব সচেতনভাবেই এ বিষয়ে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। ইইউ দেশগুলোর মধ্যে জার্মানির চীনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। জার্মানি ও ইইউর আরও কয়েকটি দেশ চীনের লাভজনক বাজার থেকে চলে আসতে রাজি নয়। তারপরও ইউরোপীয় দেশগুলোর উইঘুর নিয়ে চীনের সঙ্গে মতপার্থক্য আছে। ইইউ এ বিষয়ে চীনের ওপর কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। চীন এখন চাইছে, তারা ইইউর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ইইউও একইভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলবে। তবে ইইউর দেশগুলো চীন নিয়ে বিভক্ত। কিছু দেশ চাইছে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে। আবার কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনের বিরোধিতা করতে চায়। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ বিবৃতির পর ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন দেখার বিষয়।

এ কথা ঠিক, ইউরোপীয় দেশগুলো এখন আর অন্ধের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করতে রাজি নয়। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের সাধারণ জনগণ পথে নেমে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সরকারগুলোর কাছে জানতে চাইছে, তাদের ট্যাক্সের অর্থকড়ি খরচ করে কিসের আশায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে?

ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে চীন বিশ্বরাজনীতিতে নতুন মোড়ল হিসেবে নিজেদের অবস্থান করে নিচ্ছে বলেই মনে হয়। শুধু তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে রাজি করানোর বিষয়ে চীনের ওপরই ভরসা রাখছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁর সাম্প্রতিক চীন সফরের পেছনে মূল কারণও ছিল তা-ই। চীনও ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা শুরু করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেছে। চীনের বিশ্বরাজনীতিতে উঠে আসা যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না। চীনের এই নবোত্থান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

মাত্র কিছুদিন আগেও কল্পনা করা যেত না যে দীর্ঘদিনের কৌশলগত মিত্রদেশ সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা জোটে যোগ দেবে। গত মাসের শেষের দিকে সৌদি আরব সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিওতে ‘সংলাপ অংশীদার’ মর্যাদা লাভের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে বেরিয়ে আসার এটিও কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র অতি সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কম করে হলেও তাদের অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামসহ প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি সামরিক সদস্য মোতায়েন আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএর শীর্ষ কর্তা এরই মধ্যে সৌদি আরব সফর করে গেছেন। নতুন করে গোপন তৎপরতা যে তারা চালাবে না, তার কী নিশ্চয়তা আছে? নতুন করে আরও একজন ওসামা বিন লাদেনকে দাঁড় করিয়ে দেবে না, সে গ্যারান্টিও দেবে কে?

ভবিষ্যতে কী হবে না-হবে, তা বলা না গেলেও বিশ্বরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র যে বেশ চাপে পড়ে গেছে, তা বোঝা যায়। কয়েক দশক ধরে তারা যে একক কর্তৃত্ব বজায় রেখে বিশ্বরাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল, তা কিছুটা হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিশ্ব মোড়ল হিসেবে সম্মান বজায় রাখা ও ডলারের মান রক্ষা করা এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তারা ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে, সন্দেহ নেই। আগামী কিছুদিন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বরাজনীতি ও অর্থনীতির সব কর্মকাণ্ড এ নিয়েই হয়তো আবর্তিত হতে থাকবে।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension