
ব্রুকলিন পথমেলায় অসন্তোষ্ট লোকজন
বাংলাদেশি আমেরিকান ফ্রেন্ডস সোসাইটি অষ্টম বারের মত আয়োজন করলো ব্রুকলিন পথমেলা। গত সপ্তাহান্তে অনুষ্টিত এ মেলায় দর্শকদের উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও মেলায় ছিল নিম্মমানের শিল্পীদের দিয়ে গান পরিবেশন, স্পন্সরদের অতিমাত্রায় তোষামোদী, যত্রতত্র লোকের হাতে ক্রেষ্ট প্রদান এবং ত্রুটিপূর্ণ উপস্থাপনা।
মেলার মূল আর্কষণ থাকে বিনোদনপর্ব। যা দেখে চরম হতাশ হয়েছেন দর্শকরা। যে প্রত্যাশা নিয়ে মেলায় এসেছেন তা তাদের পূরণ হয়নি বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অতিমাত্রায় স্পন্সরদের তোষামোদীতেও বিরক্ত হন দর্শকরা। আবার এক স্পন্সরকে অন্য স্পন্সরের তুলনায় বেশী প্রাধান্য দিতে গিয়ে তোপের মুখে পড়তে দেখা গেছে আয়োজকদের।
মেলা জুড়ে ছিল পেইড স্পন্সরদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেয়ার মহোউৎসব । কমিউনিটির এমন লোকজনের হাতে পদক তুলে দেয়ার ঘটনায় চরম ক্ষুদ্ধ হন সচেতন মহল। এ নিয়ে পেছন থেকে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা যায়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, অর্থের বিনিময়ে এমন পদক দেয়ার কাজ থেকে স্বদেশীরা কবে বেরিয়ে আসবে? একসময় উপস্থাপক দর্শকদের অস্থির না হওয়ার জন্য বারণ করেন এবং যাদের স্পন্সরে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে তাদের কথা শোনার জন্য কড়া ভাষায় মাইকে অনুরোধ জানান। এর পরপরই উপস্থাপক গান পরিবেশনের জন্য একজন শিল্পীর নাম ডাকেন। কিন্তু ঐ শিল্পী মঞ্চ আসলেও বেমালুম শিল্পীর কথা ভুলে যান উপস্থাপক। এসময় মঞ্চে স্পন্সরদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সবাইকে। পরে ঐ শিল্পী বাধ্য হয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন।
আয়োজকদের এরকম হেয়ালিপনা ও অতিরিক্ত ব্যক্তিগত প্রচার ও আত্মম্ভরিতার কারণে আগামীতে ঐতিহ্যবাহী ব্রুকলিন মেলা দর্শকপ্রিয়তা হারাবে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। বাংলাদেশী আমরেকিান ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ও মেলা কমিটির সদস্য সচিব ফিরোজ আহমেদের সার্বিক তত্বাবধান এ পথমেলার আয়োজন করা হয়।