সাজু কবীর
অবেলায় বেসুরো বৃষ্টিটা দুর্বার স্রোতে
ভিজে যায় আমার সুখপ্রদ অশ্রুজল
ভিজে যায় মমতাঘেরা মায়ের আঁচল
বাবার ফসলি মাঠ ছাপিয়ে বেনোজল
হেলেদুলে চলে আর খিটখিট হাসে…
কেন? কেন এ অবেলায় এ বৃষ্টি ঝরে?
ভিটেমাটির নিশানায় কেন তাণ্ডব খেলে?
আকাশ-মাঠে খেলায় মাতোয়ারা ঘুড়ি
মুণ্ড হয়ে কেন মাটিত গড়াগড়ি করে?
কেনবা বুকপকেটে আলগোছে রাখা
কবিতাটি কাকভেজা জড়োসড়ো হয়!
ঝর্নাকলমে লেখা বর্ণগুলো বিবর্ণ হয়ে যায়!
কেন মুদ্রিত পাতাবদ্ধ হতে পারে না আমার
নির্ঘুম নিস্তরঙ্গ রাতের ফুটফুটে নবজাতক?
কেন বা মাছভরা পুকুরজল বাতাসের
ডানায় চড়ে ঊর্ধ্বলোকে দ্রুত উবে যায়!
কেন বা তা বৃষ্টি হয়ে সোনালি ক্ষেত ডুবে দেয়!
কেন বা আমার বুকে আসতে কালে
পিছলে পড়ে প্রেয়সীর পাঁজর ভেঙে যায়!
আসলে আমরা নিরুপায় বড় অসহায়
প্রতিক্ষণ ত্রাতা সেজে যে বায়ু জীবন বাঁচায়
সে বায়ু রুদ্রবেশে আবার আবাস ভেঙে দেয়
যে জলে জীবন, মানুষের জীবন জেগে ওঠে
সে জল সুনামি হয়ে মানুষের পিছে ছুটে…
আসলে পৃথিবী কোনো এক চালকের লীলাখেলা
ভিজে যায় প্রিয় জীবন বৃষ্টিতে বেলা অবেলা…