
ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করতে দেওয়া হবে না। চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত আইটি খসড়ায় এ প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আইটি খসড়ার প্রস্তাব অনুসারে, কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হলে সেটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে ভারত সরকার।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যে এটি একটি। এ খসড়াকে বড় বড় সব প্রযুক্তি সংস্থার লাগাম টেনে ধরার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডন।
একবার মিথ্যা তথ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হলে, সামাজিক মাধ্যম বা এ ধরনের কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ওই সব মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রদর্শন, আপলোড, পরিবর্তন, প্রকাশ, প্রেরণ, সঞ্চয়, হালনাগাদ বা শেয়ার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মকে সব ধরনের যৌক্তিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো অথবা সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুমোদিত কোনো সংস্থার মাধ্যমে তথ্য যাচাইবাছাই করবে সরকার। পরবর্তীতে চিহ্নিত ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য সংবলিত সংবাদ এ খসড়ার অধীনে নিষিদ্ধ করা হবে।
এর আগে মিথ্যা তথ্য প্রকাশের অভিযোগে অনেক ব্যবহারকারী বা তাদের তথ্য মুছে ফেলতে সামাজিক মাধ্যমগুলোর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেও কার্যকর কোনো ফল পায়নি ভারত সরকার। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বিবাদেও জড়িয়েছেন তারা। এ খসড়ার মাধ্যমে ওই সব প্ল্যাটফর্মকে এখন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।