
ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে এগিয়ে আসছে বিপর্যয়
পৃথিবীবাসীর জন্য আসন্ন এক ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে এগিয়ে আসছে বিপর্যয়। এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। যদিও একই সঙ্গে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শঙ্কা থাকলেও গাণিতিক হিসাবনিকাশ বলছে ঝুঁকি এখনও কম।
নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস অনুসারে, মোটামুটিভাবে অলিম্পিক সুইমিং পুলের আকৃতির একটি গ্রহাণু আগামী ২৩ বছর পর ২০৪৬ সালের ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র দিনে পৃথিবীতে আঘাত করার শঙ্কা রয়েছে। তবে এর শঙ্কা অত্যন্ত কম।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ডেটা অনুমান বলছে, গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত করার শঙ্কা ৬২৫ ভাগের ১ ভাগ। যদিও নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির সেন্ট্রি সিস্টেম বলছে, এর শঙ্কা ৫৬০ ভাগের ১ ভাগের কাছাকাছি।
ঝুঁকি কম থাকলেও নাসা বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারেই নিয়েছে। ‘২০২৩ ডিডব্লিউ’ নামের মহাজাগতিক পাথরটি সংস্থাটির ঝুঁকির তালিকায় একমাত্র বস্তু, যা টোরিনো ইমপ্যাক্ট হ্যাজার্ড (পৃথিবীর সঙ্গে অন্য কোনো বস্তুর সংঘর্ষের শঙ্কার ঝুঁকির মাপকাঠি) স্কেলে ১০-এর মধ্যে ১ নম্বরে রয়েছে। এর এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সব গ্রহাণুর টরিনো স্কেলে ০ স্থানে ছিল। জেট প্রপালশনের হিসাব অনুযায়ী ০ মানে সংঘর্ষের কোনো শঙ্কাই নেই।
নাসার কর্মকর্তারা এমনও বলছেন, এর প্রভাবের শঙ্কা নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। অর্থাৎ সংঘর্ষের শঙ্কা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, এর সঠিক গতিপথ নির্ণয়ের জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাস বড় টেলিস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
আপাতত প্রাপ্ত ডেটার আলোকে বলা হয়েছে, ২০২৩ ডিডব্লিউ গ্রহাণুটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেই ঘুরছে। ২০৪৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে।
১৬০ ফুট ব্যাসের এ গ্রহাণুটি পৃথিবীর আকাশ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়।
তবে টোরিনো স্কেলে ১-এ থাকলেও ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির নেভিগেশন ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড ফার্নোচিয়ার মতে, এ গ্রহাণুটি কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নয়।
তবে গ্রহাণুর সংঘর্ষ থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে বেশ দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছে নাসা। এরই মধ্যে গত বছর মহাকাশযান দিয়ে আঘাত করে গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের পরীক্ষাও চালিয়েছে সংস্থাটি।
সূত্র : সিএনএন