মমি ‘দ্য মিসটেরিয়াস লেডি’র মুখাবয়ব সৃষ্টি

বিশ্বের প্রথম অন্তঃসত্ত্বা নারীর মমি। মিশরে এখন থেকে ২০০০ বছর আগে মারা যাওয়া ওই নারীর মৃতদেহকে মমি করা হয়েছিল। তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ওই মৃতদেহকে স্ক্যান করে তারা দেখতে পেয়েছেন মারা যাওয়ার সময় তিনি ছিলেন ২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এই নারীর নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য মিসটেরিয়াস লেডি’। তার মমি উদ্ধার করার পরে ১৮২৬ সালের ডিসেম্বরে নিয়ে যাওয়া হয় পোল্যান্ডের ওয়ারস’তে। গত বছর ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারস-এর নেতৃত্বাধীন গবেষকরা তার দেহ স্ক্যান করেন। তাতেই ধরা পড়ে তার গর্ভে মানবসন্তানের অস্তিত্ব। ডিমকে জমাট বাঁধানোর পর যেমন দেখায়, অনেকটা তেমনি দলা পাকিয়ে আছে ওই সন্তান। ধারণা করা হয় এই নারীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

এরপর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ওই নারীর কংকাল এবং কোমল টিস্যু ব্যবহার করে তার মুখাবয়ব সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দেখা হয়েছে, তিনি দেখতে কেমন ছিলেন।
ইতালিয়ান ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানী এবং ওয়ারস মমি প্রজেক্টের সদস্য চ্যান্তাল মিলানি বলেন, হাড় ও কংকাল বিশেষ করে একজন মানুষের মুখাবয়ব কেমন সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য দেয়। তবে যে মুখাবয়ব সৃষ্টি করা হয়েছে, তা ওই নারীর প্রকৃত পোর্ট্রটে হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এর মধ্য দিয়ে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে তিনি দেখতে কেমন ছিলেন। তার মুখ কেমন ছিল। হাড়ের যে অবকাঠামো মুখাবয়ব গঠন করেছে তা ভিন্ন ভিন্ন এনাটমিক নিয়ম অনুসরণ করে।

দ্য মিসটেরিয়াস লেডি নামের এই মমিটির সন্ধান মেলে আপার ইজিপ্টের থিবিসে রাজকীয় সমাধিক্ষেত্রে। এটি থিবিয়ান সম্প্রদায়ের সমাধিক্ষেত্র বলে মনে করা হয়। ১৮০০ শতকের প্রথমদিকে উদ্ধার করা হয় তাকে। মনে করা হয় এই মমি খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর। ওই সময় থিবিয়াসের রানী ছিলেন ক্লিওপেট্টা। তিনি তখন সেখানে সক্রিয় ছিলেন। মমিটি উদ্ধার করা পর তা মিশরের বাইরে পোল্যান্ডের ওয়ারসতে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে দেখা যায় তার গর্ভে থাকা সন্তানকে অত্যন্ত যত্ন করে তন্তু দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে।

Exit mobile version