
মার্কিন হেফাজতে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া সেই সেনা
মার্কিন সেনা ট্র্যাভিস কিং নিয়োজিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। কিন্তু সম্প্রতি সেখান থেকে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। পালিয়ে গিয়ে ধরাও পড়েন সেখানে। মার্কিন ওই সেনাকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
বহিষ্কারের পরেই তাকে হেফাজতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
২৩ বছর বয়সী এই মার্কিন সেনা গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় অবৈধভাবে পালিয়ে গিয়েছিলেন। উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছিল, মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে অমানবিক আচরণ ও বর্ণবাদের কারণে তিনি পালিয়ে এসেছেন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বুধবার বলেছেন, ‘কয়েক মাসের বেশ জোরদার কূটনৈতিক তৎপরতার পর ট্র্যাভিস কিং যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ফিরে এসেছেন এবং তিনি তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ট্র্যাভিস কিং তার বাড়িতে ফেরার সুযোগ পেয়ে খুব খুশি এবং তিনি তার পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।’
চীনের সীমান্ত শহর ডান্ডংয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পর ট্র্যাভিস কিংকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিমানে করে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার বিকেলে তার মার্কিন ভূখণ্ডে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
এর আগে বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি ট্র্যাভিস কিংকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
ট্র্যাভিস কিং মার্কিন সেনাবাহিনীতে ২০২১ সাল থেকে কাজ করছেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে মূলত একজন নজরদারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন। তবে উত্তরে প্রবেশের আগে, হামলার অভিযোগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই মাসের জন্য জেল খাটেন।
গত ১০ জুলাই তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পরই তার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
কিন্তু অন্য কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন ট্র্যাভিস কিং। এরপর একটি ট্যুর টিমের সঙ্গে চলে যান উত্তর-দক্ষিণকে বিভক্ত করা ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড)। সেখান দিয়ে হঠাৎ করে অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি