বিনোদন

মার্টিন লুথারের বায়োপিক নির্মাণ করছেন ক্রিস রক-স্পিলবার্গ

জনপ্রিয় অভিনেতা ও কমেডিয়ান ক্রিস রক এবার নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। মার্কিন রাজনীতিবিদ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের জীবনী নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রস্তুত ক্রিস রক। আর নিজের এই ঐতিহাসিক নির্মাণে তিনি সঙ্গে পাচ্ছেন হলিউডের কালজয়ী নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গকে। ভ্যারাইটির প্রতিবেদন অনুসারে, চলচ্চিত্রটি পরিচালনার সঙ্গে প্রযোজনাতেও থাকছেন ক্রিস।

প্রতিবেদন অনুসারে, স্পিলবার্গ একজন নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে সিনেমাটির অংশ হবেন। ইউনিভার্সাল পিকচার্স-এর ব্যানারে জোনাথন ইগের লেখা ‘কিং: এ লাইফ’-এর অবলম্বনে জীবনীমূলক সিনেমাটি প্রযোজনায় আরো থাকছেন অ্যাম্বলিন পার্টনার্স, ক্রিস্টি ম্যাকোস্কো ক্রিগার। জোনাথনের বইটিকে প্রয়াত মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের নির্দিষ্ট জীবনী বলা হয়ে থাকে। সিনেমার কলাকুশলীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক দার্শনিক। তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন। আমেরিকায় নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ।

১৯৬৮ সালে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সহকর্মীরা তাকে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অকুতোভয় লুথার কিং তা অগ্রাহ্য করেন। সকলকে হিংসা ত্যাগের আহ্বান জানান। পরদিন ৪ এপ্রিল লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী যুবক জেমস আর্ল রে নামক আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মার্টিন মৃত্যুবরণ করেন। তখন তার বয়স মাত্র ৩৯ বছর।

অস্কার মঞ্চে চড় খেয়ে আলোচনায় উঠে আসা ক্রিস রক মার্টিন লুথারের জীবনী থেকে সিনেমাটি নির্মাণ করার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। চারবারের এমি এবং তিনবার গ্র্যামি বিজয়ী ক্রিস এর আগে হেড অফ স্টেট (২০০৩), থিঙ্ক আই লাভ মাই ওয়াইফ (২০০৭) ও টপ ফাইভ (২০১৪) পরিচালনা করেছিলেন। একজন কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত ক্রিস। সালের অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালনার দায়িত্ব পান তিনি। আর সেখানেই ঘটে যায় তার সঙ্গে আলোচিত এক ঘটনা। হলিউড তারকা উইল স্মিথের স্ত্রীকে নিয়ে ঠাট্রা করায় মঞ্চে এসে ক্রিসকে চর মেরে বসেন স্মিথ। বিশ্বজুড়ে সেই ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর অস্কার কতৃপক্ষ উইল স্মিথের উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। এ বছর অস্কার সঞ্চালনার প্রস্তাব পেয়ে তা ফিরিয়ে দেয় ক্রিস। তার বদলে দায়িত্ব পালন করেন জিমি কিমেল।

সূত্র: ভ্যারাইটি

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension