আন্তর্জাতিক

মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে ইসরাইল

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে ইসরাইলের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি শনিবার রাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে।

২০২১ সালের ১০ দিনের যুদ্ধের পর গাজা সীমান্তের এপার-ওপারের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে বাজে সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে মিশরের মধ্যস্থতায় এ চুক্তিটি হয়েছে।

যুদ্ধবিরতিতে দুপক্ষের সংঘাত থেমে যাওয়ার পর বেশ কয়েক দিন জনশূন্য থাকা গাজার রাস্তাগুলোতে ফিলিস্তিনিদের সপ্রাণ উপস্থিতি দেখা গেছে। খবর রয়টার্সের।

সড়কে নেমে আসা ফিলিস্তিনিদের অনেকেই উল্লাস ধ্বনি আর গাড়ির হর্ন বাজিয়ে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকে ছুটে গেছেন সংঘাতে নিহতদের বাড়িতে, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মুখপাত্র দাউদ শিহাব বলেন, মিশরের ঘোষণা মেনে নেওয়ার কথা জানাচ্ছি আমরা। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত এ যুদ্ধবিরতি মেনে চলব, যতক্ষণ পর্যন্ত দখলদাররা তা মানবে।

এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি চূড়ান্ত করার সময়ও দুপক্ষের মধ্যে লড়াই অব্যাহত ছিল। রকেট হামলার সতর্ক সংকেত শোনা গেছে তেলআবিবের উপকণ্ঠ পর্যন্ত।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানায়, রকেটের পাল্টা জবাবে তারাও ফিলিস্তিনে ইসলামিক জিহাদ সংশ্লিষ্ট একাধিক লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।

যুদ্ধবিরতির খবরে সন্তোষ প্রকাশ করলেও কিছু দিনের মধ্যে ফের সংঘাত বেধে যাবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় আছে গাজার বাসিন্দারা।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। তাদের দাবি, ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনা করা ইসলামিক জিহাদের কমান্ডারদের লক্ষ্য করে তারা আঘাত হেনেছে

এর পাল্টা জবাবে ইরানপন্থি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হাজারের বেশি রকেট ছোড়ে, যা আতঙ্কগ্রস্ত ইসরাইলিদের বোমা থেকে বাঁচতে বানানো আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে বাধ্য করে।

সর্বশেষ পাঁচ দিনের সংঘাতে ইসরাইল ইসলামিক জিহাদের ছয় জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা ও অনেক সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি করেছে। এবারের সংঘাত নারী, শিশুসহ ফিলিস্তিনের অন্তত ৩৩ বাসিন্দার প্রাণও কেড়েছে। ইসরাইল লক্ষ্য করে ছোড়া ফিলিস্তিনিদের রকেটে এক ইসরাইলি নারী ও এক ফিলিস্তিনি শ্রমিক নিহত হয়েছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension