জীবনশৈলীরূপ-লাবণ‌্য

মেছতার কারণ এবং চিকিৎসা

রূপসী বাংলা ঢাকা ডেস্ক:  মেছতা মুখের কালো বা বাদামি রঙের দাগ। এর মেডিকেল নাম মেলাজমা। মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ ত্বকের রং সৃষ্টির জন্য দায়ী। এটি কখনো অতিরিক্ত কর্মক্ষম হয়ে অতিরিক্ত রং তৈরি করে যা ত্বকের এক জায়গায় জমাট বেঁধে মেছতা তৈরি করে। মেছতা তিন ধরনের হয়ে থাকে।

যেমন: এপিডারমাল, ডারমাল এবং মিশ্রিত : ত্বকের ওপর ও নিচে সব স্তরেই থাকে মেলানিনের বিস্তার। উডস ল্যাম্প নামক এক ধরনের  আলো ফেলে ত্বকের কোন স্তরে মেছতা হয়েছে তা নির্ণয় করা হয়।

কেন হয়: মেছতা নারীদের বেশি হয়। গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় দেখা যায়। তাছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, সূর্যরশ্মি, ইস্ট্রোজেন হরমোন গ্রহণ, কিছু ওষুধ যেমন- Psoralen, Arsenic, Antiepileptic, Phenothiazine ও কিছু হরমোন গ্রন্থির রোগ যেমন- adisons disease, Hyperthr -oidism মেছতা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

সাবধাণতা:

* সূর্যরশ্মি এড়িয়ে চলার জন্য সব সময় ছাতা কিংবা সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন।

* ভাজা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন।

* তাজা শাকসবজি, কাঁচা ও পাকা ফল খাবেন।

চিকিৎসা:

* ক্লিগমেন ফর্মুলা: এ ফর্মুলায় তিন ধরনের ওষুধের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় যা ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং মেলানসাইট সৃষ্টিকারী কোষের কার্যকারিতা থামিয়ে রাখে।

* লেজার চিকিৎসা: লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে মেছতা সারানো যায়।

* এমসিডি: ঘূর্ণামাইক্রোমান যন্ত্রের সাহায্যে দাগযুক্ত স্থানের ত্বকের সবচেয়ে উপরের স্তর ব্যথাহীন ও রক্তপাতহীনভাবে তুলে নেওয়া হয়। এরপর ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

 

ডা. দিদারুল আহসান, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, আল-রাজী হাসপাতাল।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension