
যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ শুরু শপথের পর ট্রাম্প
• আজ আমেরিকার মুক্তির দিন, আরো শক্তিশালী হবে দেশ
• মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে
• পানামা খাল ফিরিয়ে আনা হবে
শিফারুল শেখ
গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের পর দীর্ঘ প্রতিরক্ষার অবসান ঘটিয়ে হোয়াইট হাউজে পা রাখলেন ডোনাল্ড জে ট্রাম্প। ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে এসেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প গতকাল দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দ্বিতীয় বারের মতো তিনি হোয়াইট হাউজে ফিরেছেন। শপথ নিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও। ক্যাপিটল ভবনে তারকাখচিত সমারোহে উদ্বোধনী ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। আরো শক্তিশালী হবে যুক্তরাষ্ট্র। শুরু হলো সোনালি যুগ। বেআইনি কাজকর্মের দিন শেষ। সীমান্তে সুরক্ষা আরো জোরদার করা হবে’। এর আগে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন ট্রাম্প।
আমেরিকা আরো শক্তিশালী হবে
বাইডেন প্রশাসনকে তোপ দেগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকার সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করব আমরা। পুনরুদ্ধার করব আমাদের নিরাপত্তা। আগের থেকেও শক্তিশালী হয়ে আত্মপ্রকাশ করব। নতুন যুগের সূচনা হবে দেশে।’ বাইডেন আমলে মার্কিন বিচার বিভাগের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ‘বিচারের দাঁড়িপাল্লার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা হবে। আমেরিকার দুর্বল হওয়ার দিন শেষ। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিসপানিক সমর্থকদেরও ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের আওয়াজ শুনেছি। আমি আপনাদের জন্য কাজ করব।’ ভাষণে মার্টিন লুথার কিংকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প বলেছেন, এখন থেকে সামনের দিনগুলোয় আমাদের দেশ আরো সমৃদ্ধ আর সম্মানজনক অবস্থানে উঠে আসবে। আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প তার প্রথম বক্তৃতায় বাইডেন প্রশাসন এবং তাদের অভিবাসী সংকট মোকাবিলার সমালোচনা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘অযৌক্তিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাস সংকটের’ মুখোমুখি হচ্ছে। তার অভিযোগ, আগের প্রশাসন ‘বিপজ্জনক অপরাধীদের’ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রদান করেছে যারা আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। ট্রাম্প বলেন, আমাদের একটি সরকার রয়েছে, যা একটি সাধারণ সংকটও পরিচালনা করতে পারে না। তিনি বাইডেনের আগাম ক্ষমা ঘোষণারও নিন্দা জানান। গতকালই বাইডেন তার ভাই ও বোনসহ কয়েক জনকে আগাম ক্ষমা করেন।
নিজের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন নাগরিকরা কথা বলেছেন। আমি এটার প্রমাণ হিসেবে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি যে, অসম্ভব বলে কিছু বিশ্বাস করা কখনোই উচিত নয়। অসম্ভবকে সম্ভব করাটাই আমরা আমেরিকায় সবচেয়ে ভালো পারি। যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিয় করা বা ভয় দেখানো যাবে না বলে ভাষণের শেষে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হব না। এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত, সার্বভৌম এবং স্বাধীন ভবিষ্যত্ আমাদের এবং আমাদের স্বর্ণযুগ সবে শুরু হয়েছে। আকাশেও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় থাকবে বলে জানান নতুন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, মার্কিন নভোচারীরা মঙ্গলগ্রহে গিয়ে বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনা করবেন। গতকালই হোয়াইট হাউজে যান ট্রাম্প।
‘পানামা খাল আবার আমরা ফিরিয়ে নেব’
পানামা খাল প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা এমন একটা বোকা উপহার, যা আমাদের কখনো তৈরি করাই উচিত হয়নি’। পানামা খাল চীনারা পরিচালনা করছে বলে ভুল অভিযোগ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা চীনকে দেইনি। আমরা আবার এটা ফিরিয়ে নেব’। এই মাসের শুরুর দিকে ট্রাম্প একই দাবি করেছিলেন। সেই সময় সামরিক অভিযানের সম্ভাবনার কথাও তিনি উড়িয়ে দেননি।
মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করবেন ট্রাম্প
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি গর্বিত, সমৃদ্ধশালী ও স্বাধীন জাতি তৈরি করার লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছেন। তার মধ্যে রয়েছে, আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে তিনি জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করবেন। অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে যে লাখ লাখ অপরাধী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে। তার ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো বা মেক্সিকোতেই থাকো’ নীতি পুনরায় কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরো সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে বলেও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে। ‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। শপথ গ্রহণের দিন ‘২০ জানুয়ারি ২০২৫’কে তিনি ‘মুক্তির দিন’ বলে বর্ণনা করেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির কৃতিত্ব নিলেন ট্রাম্প
গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তির কৃতিত্ব নিয়েছেন ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প। তিনি বলেন, তিনি শান্তিদূত ও ঐক্যবদ্ধকারী হবেন। গাজায় হামাসের হাতে আটক তিন ইসরাইলি জিম্মির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতকাল (রবিবার) তাদের পরিবারগুলোর কাছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা তার সঠিক স্থান পুনরুদ্ধার করবে। পৃথিবীর সবচেয়ে মহান, সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে সম্মানিত জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বের পক্ষ থেকে বিস্ময় এবং প্রশংসা অর্জন করবে। এ সময় শিগিগরই মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকা উপসাগর রাখবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি। তিনি সব যুদ্ধ বন্ধেরও ঘোষণা দেন।
ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ট্রাম্পই মার্কিন প্রেসিডেন্ট
গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারণায় দুই বার হত্যার কবল থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাই তো তিনি বলেছেন, ঈশ্বর তাকে বাঁচিয়েছেন আমেরিকার জন্য কাজ করতে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা ২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার কিছু পরে) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শপথে তিনি সংবিধানকে ‘সংরক্ষণ ও রক্ষা করার’ প্রতিজ্ঞা করেন। শপথ গ্রহণকালে ট্রাম্পের কাছে দুটি বাইবেল দেখা গেছে। এর মধ্যে একটি তার মায়ের দেওয়া এবং অন্যটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের ব্যবহূত বাইবেল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ নেওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। তার আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেডি ভ্যান্স শপথ নেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ব্রেট কাভানা। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ঊষা ভ্যান্স, যিনি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেকেন্ড লেডি। ভ্যান্সের শপথ শেষে তোপধ্বনির মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয়।
এর আগে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলের রোটুন্ডায় পৌাঁছান ট্রাম্প, তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। শেষবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসেন জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই ট্রাম্প কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা আট মিনিটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কংগ্রেসনাল মধ্যাহ্ন ভোজনে অংশ নেন। এরপর সাতটা ৩৩ মিনিটে সেনাসদস্যদের পর্যালোচনা করেন ট্রাম্প। ৮টা ৩০ মিনিটে কুচকাওয়াজে অংশ নেন। পৌনে ৯টায় মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে হোয়াইট হাউজে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পকে স্বাগত জানান বাইডেন
ক্যাপিটলে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল ট্রাম্প এবং মেলানিয়াকে হোয়াইট হাউজে চায়ের আমন্ত্রণে স্বাগত জানান। হোয়াইট হাউজের উত্তর পোর্টিকোতে ট্রাম্পকে ‘ওয়েলকাম হোম’ বলে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউজে প্রবেশের আগে সাংবাদিকরা চিত্কার করে প্রশ্ন করলেও কোনো প্রেসিডেন্টই উত্তর দেননি। এর আগে ইভাঙ্কাসহ ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের ক্যাপিটল ভবনে প্রবেশ করেন। ট্রাম্পের আগমনের ঠিক আগে বাইডেনকে জিগ্যেস করা হয়েছিল হোয়াইট হাউজে তার শেষ দিনে আজ কেমন অনুভব করছেন? উত্তরে ‘ভালো’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। চায়ের বৈঠকটি ছিল রুদ্ধদ্বার। গণমাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি নেই। প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন এবং অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের সঙ্গে এই ঐতিহ্যবাহী চায়ের বৈঠক শুরু হয়েছিল ১৮৩৭ সালে। তবে ২০২১ সালে সেই ঐতিহ্য ভেঙে ট্রাম্প বাইডেনকে চায়ের আমন্ত্রণ করেননি। ট্রাম্পের আগে নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সকে হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানান বিদায়ি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হোয়াইট হাউজে যাওয়ার আগে ট্রাম্প এবং ভ্যান্স পরিবারসহ ওয়াশিংটনের সেন্ট জনস চার্চ-এ প্রার্থনা সার্ভিসে অংশগ্রহণ করেন। একই লিমোজিনে চড়ে বাইডেন ও ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ থেকে ক্যাপিটল ভবনে পৌঁছান। এদিকে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ বিশ্বনেতারা।
শপথ অনুষ্ঠানে বিমর্ষ বাইডেন-কমলা
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সদ্য বিদায়ি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তাকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। একইভাবে মনমরা হয়ে বসে ছিলেন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ও পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে, নিজের ভাষণে বাইডেন প্রশাসনের নীতি ও নানান পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। এছাড়া অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক আসেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটন, জর্জ বুশ, বারাক ওবামা। যদিও মিশেল ওবামা ছিলেন না। ট্রাম্পের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিল ক্লিনটন বলেন, ‘আমার মনে হয়, আপনি নিজেই এটা বের করতে পারবেন’। বিল ও হিলারি ক্লিনটন মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেননি। আর বাইডেন প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমি অফিস ছাড়ছি, তবে লড়াই থেকে যাচ্ছি না।’ তিনি বলেন, ‘এখনো আমাদের অনেক কিছু করতে হবে।’
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ট্রাম্প অভিষেক অনুষ্ঠানের রীতি ভঙ্গ করে কয়েক জন বিদেশি নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলন ইলন মাস্ক. মার্ক জাকারবার্গ, জেফ বেজোস, সুন্দর পিচাই ও টিম কুকসহ বেশ কয়েক জন টেক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী। এবার প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে ক্যাপিটল হিলের ভেতরে শপথ গ্রহণ হয়। দ্বিতীয় বারের মতো এবার প্রথা ভাঙার ঘটনা ঘটল। ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৮৫ সালে রোনাল্ড রিগ্যানের দ্বিতীয় অভিষেক ভবনের ভেতরে স্থানান্তর করার পর এবারের অভিষেক দিবসে ওয়াশিংটনে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা ছিল। —বিবিসি ও সিএনএন