
যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ সহিংসতায় যুক্তরাজ্যের উদ্বেগ
যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানান।
তিনি বলেন, পুলিশ হেফাজতে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদর সহিংসতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। খবর-ইয়েনি শাফাক।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা যে সহিংসতা দেখছি তা স্পষ্টতই উদ্বেগজনক … মানুষকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে দেওয়া এ ঘটনার সূত্রপাত ২৫ মে, সোমবার মিনিয়াপোলিসের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায়।
এক খাবারের দোকানের কর্মচারী ৯১১ এ কল করে অভিযোগ করেন, এক ক্রেতা সিগারেট কেনার পর ২০ ডলারের জাল নোট দিয়েছে। পুলিশ এসে ওই অভিযোগে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতার করে।
টনাস্থলে পুলিশের গাড়ি আসার ৭২ মিনিট পর রাস্তায় তিন পুলিশের নিচে চাপা পড়ে থাকা ফ্লয়েড অচেতন হয়ে ছিলেন, তার মধ্যে প্রাণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না।
শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক কাকুতি-মিনতি করেছিলেন ফ্লয়েড। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে সাহায্য করার অনুরোধ জানালেও পুলিশ তাতে সাড়া দেয় নি।
ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরদিন মঙ্গলবার ওই ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে পুলিশ বিভাগ।
এরপর শুক্রবার হেনেপিন কাউন্টি অ্যাটর্নি মাইক ফ্রিম্যান বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেন।
এ হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙ্গচুর করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
এই বিক্ষোভের মধ্যেই নিউইয়র্কে সোহা এলাকার স্টোরগুলোতে লুটপাট চালায় একদল বিক্ষোভকারী। এ বেশকিছু লুণ্ঠনকারীদের গ্রেফতারও করে পুলিশ। ⛘