আন্তর্জাতিকইউরোপযুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র সুইডেনের ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে

মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সুইডিশ সামরিক ঘাঁটিগুলোর নির্দিষ্ট অংশ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে আশা করছে সুইডিশ সরকার। সুইডিশ টোটাল ডিফেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিরক্ষা নীতি বিশেষজ্ঞ রবার্ট ডালসজো বলেছেন, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়াকে ঠেকাতে মার্কিনিরা আমাদের সাহায্য করতে পারবে।’ স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত চুক্তির বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে সুইডেনের প্রতিবেশী নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নরওয়ে তার চুক্তি গত বছর প্রকাশ করেছে।

মার্কিন বাহিনী কোনো জটিল পরিস্থিতিতে যাতে ন্যাটোর উত্তর গোলার্ধের অংশকে রক্ষা করতে দ্রুত সেখানে অবস্থান নিতে পারে সে জন্যই এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করছে যুক্তরাষ্ট্র। নরওয়ের সঙ্গে চুক্তিটিতে যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটির তিনটি বিমানঘাঁটি এবং একটি নৌঘাঁটিতে প্রবেশ ও ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে।
সুইডিশ সংবাদ সংস্থা টিটির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রবার্ট ডালসজো বলেন, সুইডেনের উত্তরে লুলিওর কাছের ক্যালিক্সে বিমানবাহিনীর একটি রানওয়ে এবং উত্তর ক্যালট এলাকাটি চুক্তিতে থাকতে পারে।

এ ছাড়া উত্তরে আরো একটি সুইডিশ ঘাঁটি এবং কার্লসক্রোনা, বার্গা অথবা গোথেনবার্গের কোনো একটি নৌঘাঁটি ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বা দুটি বিমানঘাঁটি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুইডিশ ঘাঁটিগুলোতে মার্কিন সেনা সার্বক্ষণিকভাবে না থাকার সম্ভাবনাই বেশি বলে তিনি মনে করেন।

নরওয়েজীয় চুক্তিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ প্রবেশাধিকার এবং সুবিধামতো এলাকাগুলো ব্যবহার করার অধিকার থাকবে। এ ছাড়া পরিদর্শন, অনুশীলন, ট্রানজিট, বিমানের রিফুয়েলিং, জাহাজ ভেড়া, সেনা মোতায়েন, বাসস্থান ও মজুদ সুবিধা এর মধ্যে থাকবে।

তবে নরওয়ে পরমাণু অস্ত্র মজুদ করার অনুমতি দেয়নি। ডালসজো বলেন, আমেরিকানরা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সুইডেনের বিমানঘাঁটি ব্যবহার করলেও তারা এখানে ট্যাংক বা হাউইটজারের মতো ভারী অস্ত্র-সরঞ্জাম সংরক্ষণ করবে না।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension