
গড়াতে গড়াতে আহ্নিক গতিপথ ধরে
পৃথিবীর এমাথা ওমাথা।
ভেবে দেখো, সাত সমুদ্রের তুলনায়
তেরো নদী-কিচ্ছু না,
কিচ্ছু না তো!
তবুও শীত সকালে দাদার চাদরের নীচে বসে
শোনা গল্পের মেটাফোর।
এই বেশি বয়সে,
এই মাঝবয়সে,
একটানেই এঁকে নিই তেরো নদী।
আর, কতশতবার পাড়ি দেই
কতশত ‘তেরো নদী’ ।
জানো তো,
আট বেহেশতের স্বপ্নের চেয়ে
সাত দোযখের স্বপ্ন বেশি জোরালো।
বেহেস্তকে হাতের ডান পাশে রেখে,
সুতাসমান পুলসিরাত ধরে কত-শত লক্ষবার
চলে গেলাম অতল, রসাতলের গহ্বরে।
অথচ তুমি থেমে আছো,
সেই ঘোলাজলরঙা নদীতে
শীতের বাতাসে দোলানো গাছে।
সরীসৃপের মতো বাঁকানো সাইকেল রাস্তায়।
সে রাস্তা স্বর্গীয়, অথচ নিয়ে যায়
সোজা রসাতলে।