
রাজনৈতিক কাশ্মির
মুবিন খান
আমি সিজুকে বলি, ‘সিজু, তোমাকে একটা প্রশ্ন করব, ঠিক ঠিক জবাব দিবা।’
সিজু আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাল। তারপর বলল, ‘কি মুবিন ভাই?’
‘তোমাদের ইন্ডিয়ান আর্মি ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে কাশ্মিরের এক লক্ষ মানুষ মেরে ফেলেছে, দশ হাজারেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছে। একজন ইন্ডিয়ান হিসেবে এইটাকে তুমি কতটা সত্যি বলে মনে কর?’
‘ইন্ডিয়ান আর্মি!’ সিজুর কন্ঠে আহত বিস্ময়।
‘হ্যাঁ।’ আমি দৃঢ় থাকি। ‘এইজন্যেই বলেছি সত্য বলবা।’
সিজু এবারও আমার দিকে তাকিয়ে রইল। একটু পর বলল, ‘হ্যাঁ, মেরেছে, তবে এত লোক মারে নি। সংখ্যাটা আরও কম হবে।
‘আর ধর্ষণ?’ আমি বলি।
‘হ্যাঁ, করেছে। তবে দশ হাজার হবে না।’ সিজু বক্তব্যে সৎ থাকার চেষ্টা করে।
দুপুরের দিকে কাসিমের কাছে গেলাম। কাসিম হাতে কাগজ কলম নিয়ে ল্যান্ডফোনের বোতাম চেপে অফিস সেক্রেটারিকে কোথাও সংযোগ দিতে বলছিল।
‘কাসিম ব্যস্ত আছ?’
‘একটু ব্যস্ত মুবিন ভাই, আপ বোলো।’
‘তোমার কাছে কাশ্মির সম্পর্কে একটু জানতে চাই।’
কাসিমের চোখেমুখে উৎসাহ দেখা দিল। ‘বোলিয়ে মুবিন ভাই।’
আমি সবেমাত্র বলতে শুরু করেছি, তখনই অফিস সেক্রেটারি ফোন কানেক্ট করল। পরে কথা বলব বলে চলে এলাম।
সন্ধ্যার পর সিজু এল আমার কাছে, ‘মুবিন ভাই, আপনি কাসিমের কাছে গিয়েছিলেন?’
‘হ্যাঁ, কাশ্মির সম্পর্কে পাকিস্তানের আম লোকেরা কি ভাবছে সেটা কাসিমের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যাবে।’
‘কি বলেছে বলেছে কাসিম?’ সিজু কন্ঠর ক্রদ্ধতা চাপার চেষ্টা করে।
‘কথা হয় নাই। কাসিম ব্যস্ত ছিল। বলেছি পরে কথা বলব।’
‘কথা হলে আমাকে জানাবেন ও কি বলল।’

আমি হাসি। সিজু আর কাসিম। একজন ভারতীয় আরেকজন পাকিস্তানি। ঠিক এই মুহূর্তে আক্ষরিক অর্থেই নিজের নিজের দেশের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে। একজন মুসলিম নয়, অন্যজন মুসলিম। কিন্তু তারা সাম্প্রদায়িক নয়, তারা দ্বিজাতিতাত্ত্বিক রাজনীতির শিকার।
কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিস তাদের একটা রির্সাচ রিপোর্টে বলেছে, কাশ্মিরের ভারতের অংশটুকুতে ভারতীয় সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে ৯৪ হাজার ২৯০ জন কাশ্মিরিকে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৩৮ জনকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে । এটুকু পড়লেই বুক শুকিয়ে যায়। নড়েচড়ে বসতে হয়। আমি নড়েচড়ে বসলাম। কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিস তাদের এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছিল বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে। রিপোর্টটি ছেপেছে দৈনিক ইনকিলাব। ইনকিলাব শিরোনাম দিয়েছে, ‘ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ২৭ বছরে এক লাখ মুসলিম হত্যা।’
আমার অনেক পুরনো সহকর্মী শাহীন হাসনাত একবার বলেছিলেন, দৈনিক ইনকিলাবের আন্তর্জাতিক ডেস্ক খুব ভালো কাজ করে। শাহীন হাসনাত এখন দিগন্ত টেলিভিশনের কর্মকর্তা। সম্ভবত আন্তর্জাতিক বিভাগেই। তিনি কিন্তু সঠিক বলেছিলেন। দৈনিক ইনকিলাবের আন্তর্জাতিক বিভাগটাতে অনেকগুলো মানুষ চব্বিশ ঘন্টা নিরলস কাজ করে চলেছেন, সেটা আমার একবার দেখার সুযোগ হয়েছিল। তবুও, আমি কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিস রিসার্চের রিপোর্ট আর এ সংক্রান্ত জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজি করতে লাগলাম।
সেটা পাওয়া গেল। তার সঙ্গে পাওয়া গেল এ সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর। তারা জানাল, ভারত সরকার কাশ্মির নিয়ে ওই রিপোর্টটাকে ‘প্রতারণামূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, নির্বাচিত অসমর্থিত তথ্যকে সম্বল করে প্রতারণামূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্ট তৈরি করেছে কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিস। ভারত সরকার আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাবও করেছে। আরও বলেছে, ‘…পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্টে মিথ্যা বর্ণনা করা হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে এই রিপোর্ট। জম্মু-কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেআইনিভাবে কাশ্মিরের একটা অংশ জোর করে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান।…’

দেখেন, রাজনীতি ঢুকে গেছে। সরকারি প্রেস রিলিজ যেমন হয় আর কি। সরকারি প্রেস রিলিজের চরিত্র পৃথিবীর সকল দেশে, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় মোটামুটি একইরকম। আসুন, কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিসের রিসার্চ রিপোর্টে আরও কি আছে একটু দেখে আসি। তাহলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে ভারত সরকার এতটা উত্তেজিত কেন হল।
রিপোর্ট বলছে, ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী ৯৪ হাজার ২৯০ জন কাশ্মিরিকে হত্যা করার ফলে ২২ হাজার ৮০৬ নারী বিধবা হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭ হাজার ৫৪৫ শিশু এতিম হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা ১০ হাজার ১৬৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয় এবং ১ লাখ ৬ হাজার ৫০টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। প্রায় ৮ হাজার মানুষ গুম করা হয়েছে। জননিরাপত্তা আইনে হাজারখানেক ছাত্র-যুবা-আন্দোলনকারী গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব সেনাবাহিনীর। দেশের নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও সেনাবাহিনীর। তারাই যদি নাগরিকদের হত্যাকারী বলে অভিযুক্ত হয়, নারী ধর্ষক বলে তাদের দিকে আঙুল তোলা হয়, মানুষকে গৃহহীন করার দায়ে তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে সরকারের তো গাত্রদাহ হবেই। কেননা সরকারের ক্ষমতার মসনদের চারটে পা তারাই শক্ত করে ধরে রাখে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশেও এমনটা ঘটেছিল। বাংলাদেশ তখন ছিল পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তান আর্মি ঘর থেকে মানুষদের ধরে নিয়ে যেত। পরে তাদের লাশ পাওয়া যেত। অনেকের খোঁজই মিলত না। গুম করে ফেলা হত। মেয়েদের ধরে নিয়ে যেত। ধরে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হত। মাত্র নয় মাসে তিরিশ লক্ষ মানুষ হত্যা আর দু লক্ষ নারীকে ধর্ষণ করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। এত কম সময়ে এত মানুষ হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই। ভুট্টোও তখন ওসব অভিযোগকে মিথ্যা বলে মিথ্যাচারীতা করেছিল।
আসুন, এখন আমরা কাশ্মিরের সমস্যাটার দিকে একটু দেখব। কাশ্মিরের সমস্যাটি আজকের নয়।এ সমস্যার শুরু ১৯৪৭ সাল থেকে। কাশ্মির সঙ্কটটি আরোপিতভাবে তৈরি করেছিল ইংরেজরা; ভারতবর্ষকে দু শ’ বছর ধরে শাসন-শোষণ করতে থাকা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। ইংরেজরা ভারত ছেড়ে যেতে চায় নি। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তাদের অনেকটা দুর্বল করে ফেলেছিল। একইসঙ্গে ভারতেও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয়ে উঠেছিল। এমন বাস্তবতায় ইংরেজরা সাম্প্রদায়িকভাবে দ্বিজাতিতত্ত্বর শেকড় বুনে ভারতবর্ষকে ভেঙে তথাকথিত মুসলমান রাষ্ট্র পাকিস্তান বানিয়ে দিল।
১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময়ে কাশ্মিরের রাজা ছিলেন হরি সিং। সাতচল্লিশেই পার্বত্য দস্যুরা আক্রমণ করে কাশ্মিরকে। দস্যুদের আক্রমণ থেকে কাশ্মিরকে রক্ষা করতে ভারতীয় সেনাদের সাহায্যর আশায় ভারতের সঙ্গে যোগ দেন রাজা হরি সিং।কাশ্মিরের জনসংখ্যার বিপুল অংশ মুসলিম। রাজা ভারতভুক্তির পক্ষে সিদ্ধান্ত নিলেও কাশ্মিরের মুসলিম বাসিন্দাদের একটি অংশ এবং পাকিস্তান সেটা মেনে নিতে আপত্তি তোলে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান হওয়ায় সদ্য গড়ে ওঠা রাষ্ট্র পাকিস্তানেরও নজর ছিল কাশ্মিরের ওপর। অন্যদিকে কাশ্মিরের জনগণ ‘আজাদ কাশ্মির’ চায়। ফলে সৃষ্টি হল সঙ্কটের। ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে কাশ্মির প্রসঙ্গেই ভারত ও পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধটি সংঘটিত হয়।
বর্তমানে কাশ্মির ভূ খন্ডর ৪৩ ভাগ জায়গা রয়েছে ভারতের দখলে। এর মধ্যে জম্মু, কাশ্মির উপত্যকা, লাদাখ এবং সিয়ানচেন হিমবাহ রয়েছে। পাকিস্তানের অধীনে রয়েছে কাশ্মিরের ৩৭ ভাগ জায়গা।এগুলোক মধ্যে কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদসহ উত্তরাঞ্চলীয় গিলগিট এবং বেল্টিস্তান রয়েছে। অন্যদিকে চীনের দখল করে রেখেছে কাশ্মিরের ২০ ভাগ এলাকা, যার নাম আকসাই চীন। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের সময় চীন এ জায়গাটা দখল করে নেয়।
আগেই বলা হয়েছে কাশ্মির সমস্যাটি ইংরেজদের নির্মাণ। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় তারা কাশ্মির সমস্যাটির সমাধান না করে চলে যায়। এর অর্থ হল, কাশ্মিরের সমস্যাটি রাজনৈতিক। সাম্প্রদায়িক নয়। আর ইংরেজদের যাওয়ার প্রাক্কালে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাঙ্গাটি সংঘটিত হল সাতচল্লিশের দেশভাগের সময়ই। সে দাঙ্গায় দশ লক্ষ লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন। কোন কোন ইতিহাসবিদ অবশ্য বিশ লক্ষ মানুষের প্রাণহানীর কথাও বলেছেন। সাম্প্রদায়িকতা তখন এমন প্রকট আকার ধারণ করল যে, ভারতবর্ষ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল।
দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক এই সমস্যা থেকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে ভারত আর পাকিস্তান এ সমস্যার শরীরে সাম্প্রদায়িকতার পোশাক পরিয়েছে। ইসলামি পলিটিক্সের গবেষক ড. কিংশুক চ্যাটার্জির মনে করেন, এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মিরের আন্দোলন ইসলামি চেহারা নিয়েছে এবং এ কারণেই আন্তর্জাতিক স্তরে কিছুটা সহানুভূতি হারাচ্ছে বলেও মনে করা হয়, সেটা কিন্তু প্রথম থেকে আদৌ ছিল না।

তার কথায়, ‘পলিটিক্যাল মোবালাইজেশনের চরিত্রটাই এমন, যে অন্যকোন স্ট্র্যাটেজি বা গণতন্ত্রীকরণ যখন কাজ করে না তখন বেশিরভাগ রাজনৈতিক সমস্যাই ইসলামাইজেশনের দিকে ঝোঁকে। আর এখন ইসলামিক স্টেটের ভাবধারা আসার ফলে সারা দুনিয়া জুড়ে ইসলামাইজেশনের নামেই একটা চরম বিতৃষ্ণা দেখা দিয়েছে, কাশ্মিরের আন্দোলনও তার শিকার।’
দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্টটিতেও আমরা ঠিক এই জিনিসটি দেখতে পাচ্ছি- তারা কাশ্মিরের রাজনৈতিক সমস্যাটিকে ইসলামাইজেশন করতে চাইছে। তারা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ২৭ বছরে এক লাখ মুসলিম হত্যা’ বলছে।
বলছে না, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ২৭ বছরে এক লাখ মানুষ হত্যা।’
এর ফলে আন্তর্জাতিক মহল কাশ্মির সমস্যা সম্পর্কে উদাসিন। সেটা ভারত-পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রই বোঝে, বোঝে রাজনীতিও, বোঝে আজাদ কাশ্মিরের জন্য লড়াই করতে থাকা জম্মু কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্ট, হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামি, লস্করে তৈয়েবা, হিজবুল মুজাহিদিন কিংবা হরকত-উল মুজাহিদিন। কিন্তু বুঝেও তারা কিছু বলে না। বলে নি একাত্তরটি বছর। কাশ্মির সমস্যা আর সমাধানের দিকে এগোয় না। কারণ ‘ইসলামাইজেশন’-টাই ভারত-পাকিস্তান আর কাশ্মির নিয়ে রাজনীতি করা লোকেদের পুঁজি। এরা সকলেই আসলে পুঁজিবাদেরই ঘুঁটি। মুক্তির লড়াই করতে থাকা যোদ্ধারা সেটা বোঝে না।
সে কারণে একাত্তর বছর ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের রূপরেখা হয়ত বদলেছে, কিন্তু সমাধানের কোন পথ আজও খুঁজে পায় নি কাশ্মির, কিংবা ভারত-পাকিস্তান।
কাশ্মীরকে ঘিরে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে এতগুলো যুদ্ধর পরও দিল্লির শাসক গোষ্ঠী, সে যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বিশ্বাস করে কাশ্মীরের স্বাধীনতার আন্দোলন কিছুতেই পূর্ণতা পাবে না, এমন কী সেটা ফিলিস্তিনের পর্যায়েও কখনও পৌঁছবে না। তাই সেনাবাহিনী আরও ৯৪ হাজার ২৯০ জন কাশ্মিরিকে হত্যা করবে, আরও ২২ হাজার ৮০৬ নারী বিধবা হবেন, ভারতীয় সেনারা আবারও ১০ হাজার ১৬৭ জন নারীকে ধর্ষণ করবে। এবং প্রতিক্রিয়াশীলরা বলবে, কাশ্মিরে সাতাশ বছরে এক লক্ষ মুসলমান হত্যা করেছে ভারতীয় সেনারা।
তখনও, বিশ্ব কাশ্মির ইস্যুতে থাকবে উদাসিন।
লেখক: সাংবাদিক