
রাশিয়া-চীনের যৌথ মহড়ায় ভারত, শুরু বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবার থেকে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হচ্ছে। চীন, ভারতসহ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ এতে অংশ নিচ্ছে। ‘ভস্তক ২০২২’ (পূর্ব ২০২২) নামের এই যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে চীনা সেনাদের রাশিয়া যাওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গত কয়েক বছরে রাশিয়া ও চীনের সেনারা বেশ কয়েকবার যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছেন। জাপান সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে নৌ মহড়াও করেছে তারা।
ভস্তক ২০২২-এ ৫০ হাজারের বেশি সেনা অংশ নেবেন। প্রায় ১৪০টি যুদ্ধবিমান ও ৬০টির মতো যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করা হবে। তবে ২০১৮ সালে শেষবার অনুষ্ঠিত এমন মহড়ায় প্রায় তিন লাখ সেনা অংশ নিয়েছিল। যুদ্ধবিমান ছিল প্রায় এক হাজারটি। আরও ছিল প্রায় ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক শক্তি নিয়ে গবেষণা করা সংস্থা ‘রোচ্যান’-এর পরিচালক কনরাড মুজিকা রয়টার্সকে বলেন, ‘গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ছোট সামরিক মহড়া হতে যাচ্ছে’। তার ধারণা, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক ইউনিটের ৭০-৮০ শতাংশ সদস্য ইউক্রেনে মোতায়েন আছে। ফলে যৌথ মহড়ার জন্য ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করা মস্কোর জন্য ‘অসম্ভব’। ‘রাশিয়া দেখাতে চাইছে যে, সব ঠিক আছে এবং চীনের সঙ্গে বড় আকারের সামরিক মহড়া শুরুর ক্ষমতা তাদের আছে বলেন মুজিকা।
রাশিয়া ও চীনের নৌসেনারা জাপান সাগরের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে মহড়ায় অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন। চীন ও ভারত ছাড়াও লাওস, মঙ্গোলিয়া, নিকারাগুয়া, আলজেরিয়া, সিরিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের সেনার মহড়ায় অংশ নেবেন।
চীন মনে করে পশ্চিমা বিশ্বের ‘উসকানির’ কারণে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এবং এই যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের দেয়া নিষেধাজ্ঞারও সমালোচনা করেছে চীন।
এদিকে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাম্প্রতিক তাইওয়ান সফরকে ঘিরে উত্তেজনার সময় রাশিয়া চীনের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন ও তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বিশ্ব পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা। চীন জানিয়েছে, রাশিয়ার মহড়ায় অংশ নেয়ার সঙ্গে ‘বর্তমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই’৷