
রুশ-মার্কিন ড্রোন সংঘর্ষ কি যুদ্ধে গড়াবে?
ইউক্রেনের যুদ্ধের আগুনে এবার ঘি ঢালল মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে রুশ যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষ! মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার এসইউ-২৭ ফাইটার জেট বিমানের সঙ্গে মার্কিন এমকিউ-৯ বিমানের সংঘর্ষের পর ড্রোনটি কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এরপরই পশ্চিমা বিশ্বে শোরগোল উঠেছে-হঠাৎ কেন এই সংঘর্ষ?
কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ঠেকাতে ইচ্ছাকৃতভাবেই এই হামলা চালিয়েছে মস্কো-এই পথেই ছুটছে বেশিরভাগ মন্তব্য। কেউ কেউ আবার বলছেন, পাইলটের দুর্বলতাতেও ঘটতে পারে এ অঘটন।
এই দুই ভিন্নমত নিয়েই বুলেট বেগে ছুটছে সংঘর্ষ-পরবর্তী বিশ্বের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। যদি হামলা ইচ্ছাকৃতই হয়, তাহলে এই উত্তেজনা যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াবে কিনা-এসব নিয়েই চলছে কানাঘুষা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘর্ষের জের ধরে কোনো যুদ্ধ বাধার সম্ভাবনা নেই। কারণ এটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই পাইলটের দুর্বল বিমান চালনার কারণে হয়েছে। টেলিগ্রাফ।
তারা আরও মনে করছেন, যদিও এই ঘটনাটিতে মস্কোর সামান্য দোষ থাকতে পারে। তবে এতে দেশটির আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। একইভাবে সংঘর্ষে ড্রোন বিধ্বস্ত হলেও কোনো প্রাণহানি না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করতে পারে বলে মনে হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।
যদিও ড্রোনটি সংস্করণের জন্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হতে পারে দেশটির। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৃষ্ণসাগরে মার্কিন ড্রোনের কাছে রুশ বৈমানিক ভুলবশত চলে যেতে পারে। তবে এটা যদি ইচ্ছাকৃত একটি বেপরোয়া হামলা হয় তাহলে তা উসকানি হিসাবে দেখবে তারা। এতে উত্তেজনা বাড়তে পারে।
দেশটির একজন সেনা কমান্ডার একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, এটা খুব বিপজ্জনক পদক্ষেপ ছিল। যা দেশ দুটির মধ্যে সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারত। কৃষ্ণ সাগরের ওপর কয়েক মাস ধরে কাজ করছে মার্কিন ড্রোন। যুক্তরাজ্য এবং সুইডিশ গোয়েন্দা বিমান।
গত বছরও কৃষ্ণ সাগরে একটি রুশ জেট ঘটনাক্রমে ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিমানের ওপর একটি অস্ত্র ছেড়ে দেয়। তখনো এ নিয়ে বেশি জল ঘোলা করেনি দেশ দুটি।