
সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্ষুধা ও দারিদ্র্য
ব্রিটিশ জৈব রসায়নবিদ ও আণবিক জীববিজ্ঞানী স্যার রিচার্ড জন রবার্টস। তিনি বিজ্ঞানী ফিলিপ অ্যালেন শার্পের সঙ্গে ১৯৯৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে (ফিজিওলজি বা মেডিসিন) যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। ইউক্যারিওটিক ডিএনএতে ইন্ট্রোন আবিষ্কার ও জিন বিভক্তকরণের কৌশল নিয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) আমন্ত্রণে সংক্ষিপ্ত সফরে গত ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশে এসেছিলেন স্যার রিচার্ড জন রবার্টস। তিনি এসআইপিজির ‘জিএমও ক্রপস ইন বাংলাদেশ: পলিসিস অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক বিশেষ বক্তৃতায় অংশ নেন। ২৭ অক্টোবর এক সাক্ষাৎকার দেন ব্রিটিশ এ বিজ্ঞানী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম
বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে ব্যাপক ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষ মারা গিয়েছিল এবং আড়াই লাখেরও বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আমরা কীভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম?
ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। শিগগিরই হয়তো তা পাওয়া যাবে। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধের আরেকটি উপায় হচ্ছে ডেঙ্গু বহনকারী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা। এখানে বেশকিছু আকর্ষণীয় অগ্রগতি আছে।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোয় কোন কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত?
আমি মনে করি, সবচেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্য। অনেক উন্নয়নশীল দেশে এগুলোই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এখানে বিশাল জনসংখ্যা এবং যার বড় অংশই দরিদ্র। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় খাদ্য ও চিকিৎসার সুযোগ অবারিত। কিন্তু দরিদ্র মানুষগুলোর সামনে পর্যাপ্ত খাবার নেই। তাদের কাছে খাবারই ওষুধ।
আমরা শীর্ষ ধান উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি।৷ আপনি কি বাংলাদেশে ‘গোল্ডেন রাইস’ চাষের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন?
সত্যি বলতে কী, ‘গোল্ডেন রাইস’ গ্রহণ না করায় বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা বোকামির পরিচয় দিয়েছেন। আমি কয়েক বছর আগে এখানে এসেছিলাম এবং নীতিনির্ধারকদের একটি গ্রুপের সঙ্গে বসেছিলাম। প্রায় সবাই একমত হলেও গ্রুপের একজন সদস্য এর বিপক্ষে ছিলেন এবং তাই এটি আলো পায়নি। ‘গোল্ডেন রাইস’ চাষ করে শিশুদের জীবন রক্ষা করতে পারতেন। এতে শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন-এ নিশ্চিত হতো। বাংলাদেশ কেন সেদিকে গেল না তা আমার বুঝে আসে না।
নিকট ভবিষ্যতে করোনা মহামারীর মতো কোনো মহামারীর আশঙ্কা দেখছেন কি? এমনটা হলে আমরা কী কী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি?
হ্যাঁ। এমনটা হবে। নতুন অনেক মহামারী হানা দেবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এর জন্য বিভিন্নভাবে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারি। পশ্চিমা কিছু দেশ এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ভালো উদাহরণ হতে পারে না। ইউরোপের কয়েকটি দেশ সম্ভাব্য মহামারীর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। যেহেতু সম্পদ সীমিত সে কারণে বিশ্বের উন্নয়নশীল অংশের পক্ষে এ পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া কিছুটা কঠিন হতেই পারে। তবে আমি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মতো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আশাবাদী। তারা সারা বিশ্বের জন্য যথেষ্ট ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম। প্রতিষ্ঠানটিকে আমি যথেষ্ট সমীহ করি। কয়েক দিন আগে আমি সেখানে একটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম এবং আশা করছি শিগগিরই আবার যাব। ভ্যাকসিন সক্ষমতা বাড়াতে আমাদের কোম্পানি তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে কিনা তা দেখব। কভিডকালে এমআরএনএ ভ্যাকসিন সক্ষমতা অনেক কার্যকর ভূমিকা রেখেছে মহামারী নিয়ন্ত্রণে। আশা করি, যেকোনো মহামারী এলে আমরা ওই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হব। মৃত্যু হ্রাসে আমাদের কভিড ভ্যাকসিনের চেয়ে আরো দ্রুত নিয়ে আসতে হবে।
করোনা মহামারীর সময় ভ্যাকসিন নিয়ে অনেককে সংশয় প্রদর্শন করতে দেখেছি। আমরা কীভাবে এ সংশয়বাদকে মোকাবেলা করতে পারি?
আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটা করতে পারি তা হচ্ছে স্কুলে শিশুদের ভালো শিক্ষা দিই, বিজ্ঞান শেখাই। তাদের শেখাতে হবে যে বিজ্ঞান তাদের সাহায্য করতে পারে, জীবন রক্ষা করতে পারে এবং এটি তাদের জন্য চমৎকার কিছু একটা। সোশ্যাল মিডিয়া যেন এর নিয়ন্ত্রণ না নিয়ে ফেলে তা নিশ্চিত করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ভুয়া খবর ও বিজ্ঞান সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে বেশ ওস্তাদ। এ ব্যাপারে বেশি কান দেয়া উচিত নয়। বিজ্ঞানীরা আপনাকে সাহায্য করতে চান, তারা সবাইকে সাহায্য করতে চান। আপনি তাদের কথা শুনবেন না কেন? কেন সরকার তাদের সমর্থন করবে না এবং তাদের গবেষণার জন্য যথেষ্ট তহবিল দেবে না? সরকার কেন তাদের কথা শোনে না? আমি মনে করি, সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞানের বিরোধীদের মতামত প্রচার ও তাদের সম্মিলিত হওয়ার প্লাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমি ভালো কিছু মনে করি না।
তাহলে আপনি মনে করেন ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবের মতো প্লাটফর্ম বিজ্ঞানবিরোধী বিতর্ক বাড়ায়?
হ্যাঁ। তারা এখনো এটা করে যাচ্ছে। আমি তোমাকে একটি উদাহরণ দেব। একটা সময় ছিল, পৃথিবী গোলাকার নয়, বরং সমতল—তাতে বিশ্বাস রাখা মানুষের সংখ্যা হয়তো কয়েক হাজার ছিল! তারা বিজ্ঞানের বড় কোনো বিরোধী শক্তি ছিল না। কিন্তু যখন ফেসবুক, টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো আসে তখন তারা সেখানে মতামত শেয়ার করার সুযোগ পায়। এর মাধ্যমে তারা একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং নিজেদের গ্রুপকে শক্তিশালী করে। বিভিন্ন ধরনের কন্সপিরেসি থিউরি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে বিস্তৃত করতে পছন্দ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো। এতে তাদের প্লাটফর্মগুলোয় এনগেজমেন্ট বাড়ে। সেখানে বিজ্ঞানবিরোধীদের সমারোহ ঘটে। এটা এক ভয়ানক পাগলামি বৈকি। এই যে দেখুন, আমাদের সবার হাতে সেলফোন, তা কোত্থেকে এল? এটা তো বিজ্ঞানেরই আবিষ্কার। কভিড ভ্যাকসিন কীভাবে সম্ভব হয়েছিল? এটা বিজ্ঞানের কারণে নয় কি? করোনা টেস্ট করা গেল কীভাবে? বিজ্ঞানের কারণে। আজকে যা কিছু ভালো সবই তো বিজ্ঞানের উপহার। একটা সময় ছিল যখন আমাদের গাড়ি, বাস, ট্রেন ছিল না। পরিবহনের এ আধুনিক মাধ্যমগুলো আমরা কীভাবে পেলাম। তা তো বিজ্ঞানের কারণেই, তা নয় কি?
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবলেম সলভিংয়ের (সমস্যা সমাধান) চেয়ে মুখস্থ করার ওপর জোর দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের কী পরামর্শ দেবেন? বিজ্ঞানে ভালো হতে গেলে কী প্রয়োজন?
শিশুদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো কৌতূহলী হওয়া। ছোট্ট শিশুরা প্রশ্ন করতে পছন্দ করে। ছোটবেলায় বিজ্ঞান শেখার সুযোগ দেয়া উচিত। আমাদের উচিত, তাদের সঠিকভাবে শেখানো যাতে তারা বিজ্ঞানে খুব ভালো হয়। দুর্ভাগ্যবশত, অনেক রাজনীতিবিদ এমনটা চান না। তারা চায় না জনতা শিক্ষিত হোক। জনগণ যদি সত্যিই শিক্ষিত হয়, তারা প্রশ্ন করবে।
সম্প্রতি একটি স্কুলে বক্তৃতা দিয়েছিলাম। সেখানে উপস্থিত এক ছাত্রী আমার আলোচনার বিষয়বস্তু তার বাবা-মায়ের সঙ্গে শেয়ার করে। ওই বাবা-মা ছিল জিএমও-বিরোধী। সে বাবা-মাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল, ফলে তারা জিএমও-বিরোধী থেকে সমর্থক হিসেবে দাঁড়ায়। শিশুরা বেশ মজার কিন্তু তাদের ভালো করে শেখাতে হবে। তাদের প্রশ্ন করার এবং শেখার সুযোগ দিন। আমি শিশুদের ভালোবাসি, কারণ তারা খোলা বই।
আপনাকে ‘জিএমও আন্দোলনের কড়া সমর্থক’ বলা হয় কেন?
হ্যাঁ। আমি জিএমওর কড়া সমর্থক। নোবেল পুরস্কার জেতার পর থেকে আমি যে কাজগুলো করে আসছি তার মধ্যে একটি হলো বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে লড়াই। গ্রিনপিসসহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ জিএমওর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ অ্যাকটিভিজম তাদের অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার। এর মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক ক্ষমতাও উপভোগ করে। বিজ্ঞানী হিসেবে যখন দেখলাম, জিএমও বেশ ভালো একটি উদ্ভাবনা, আমি এর পক্ষে অবস্থান নিলাম। উদ্ভাবনের চার দশক পরও এর বিপক্ষে শক্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেননি সমালোচকরা। এটা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর। উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য এ নিয়ে গবেষণা আরো বাড়ানো প্রয়োজন। এখানে যে উদ্ভিদ ও শস্য পাওয়া যায় তার অনেকগুলো আবার উন্নত বিশ্বে পাওয়া যায় না। উন্নত বিশ্ব নিজেদের প্রয়োজনমাফিক গবেষণা চালাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিজেদের শস্য নিয়ে নিজস্ব গবেষণা এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিটি বেগুন বেশ ভালো একটি উদ্ভাবন ছিল। এতে দেশের কৃষকরা বেশ উপকৃত হতেন। কিন্তু কী কারণে যেন তা বন্ধ হয়ে গেছে। গোল্ডেন রাইসসহ অন্যান্য জিএমও উদ্ভিদে আপনি কেন মনোযোগ দেবেন না?
সমালোচকরা বলছেন, এটি সিড কলোনাইজেশন (বীজ উপনিবেশ) নিয়ে আসবে। কয়েকটি কোম্পানির হাতে বীজের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?
ঠিক আছে, মানলাম। এর দায়িত্ব কোনো কোম্পানিকে না দিয়ে সরকার নিজে করুক। সরকারের আওতায় বিজ্ঞানীরা তা চালাতে পারেন, কৃষকদের কাছে বীজ সরবরাহ করতে পারেন। সরকার যদি মনে করে, তাহলে বেসরকারি কোম্পানিকে দেয়া দরকার নেই! আর যদি বেসরকারি কোম্পানিকে দেয় তাহলে তারা সেখানে কিছু ব্যবসা করবে। সব বেসরকারি কোম্পানিই তো লাভের জন্য ব্যবসা করে। সরকারের উচিত লাভের মাত্রা তদারকি করা। ব্যক্তিগতভাবে, বিজ্ঞানীরা যদি অর্থ উপার্জন করেন তাহলে আমি খুশি হই। কারণ তাদের হাতে যদি অর্থ থাকে তাহলে তারা আরো গবেষণা করবেন এবং আরো ভালো কিছু নিয়ে আসবেন।
গত বছর থেকে বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মানুষ। আপনি কি মনে করেন বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বিজ্ঞান ভূমিকা রাখতে পারে?
আপনি যদি বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশে তাকান তাহলে দেখবেন তাদের কৃষি কোম্পানিগুলো ফসলের উন্নতিতে ভূমিকা রাখেনি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে ফলন বাড়ানো জরুরি। এতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও গবেষণার অভাব রয়েছে সেখানে। স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য উন্নত বিশ্ব কিছুই করেনি। তারা সেখানে অর্থ উপার্জন করতে পারে না, তাই তারা কিছুই করে না। আধুনিক জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো দেশই এটা করতে পারে। শস্য উন্নত করতে তো বড় কোম্পানির কাছে যেতে হয় না।
আমাদের জমি অল্প কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। বাংলাদেশে আমরা কীভাবে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি? আপনি কী পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেবেন?
আমি বলব, এখানে জিএমও গবেষণার পথ বিস্তৃত করা হোক। এখানে উৎপাদিত শস্যের উন্নতিতে গবেষণার পথ সুগম করা হোক। এতে কৃষকরা যেমন নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে পারবে তেমনি তাদের প্রতিবেশীরও উপকারে আসবে। জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষত খরা এখানে মারাত্মক সংকট হিসেবে হাজির হতে পারে। জিএমও কৌশল ব্যবহার করে প্রতিকূল আবহাওয়ারোধী বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে সহায়তা করতে পারেন বিজ্ঞানীরা। তাদের এটা করতে দিন। তারা জানেন তারা কী করছেন।
কীভাবে আপনি বিজ্ঞানী হয়ে উঠলেন?
আমি কৌতূহলী এবং প্রশ্ন করতে ভালোবাসি। আমি জানতে চাই কীভাবে কোনো জিনিস কাজ করে। আমার ক্ষেত্রে, আমি জানতে চাই কীভাবে ব্যাকটেরিয়া কাজ করে।
বণিক বার্তার সৌজন্যে