
‘সবার সরকার’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউনূস সরকারের যাত্রা
গণ আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে মাথার রেখে বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে ‘নতুন বাংলাদেশে’ উত্তরণের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করল নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; যেখানে সবাই পাবে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা।
বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনে শপথ নিয়ে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করলেন সবাইকে; বললেন, ”ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সরকার হবে দেশের সবার সরকার।”
নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের ও নির্ভয়ে মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ‘রাষ্ট্র পুর্নগঠনের’ কাজকেও অগ্রাধিকার দেবে বলে তুলে ধরেন আন্দোলনের মাঠের ছাত্র প্রতিনিধি থেকে উপদেষ্টা হওয়া নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের সংস্কার কাজটি করতে হবে। পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে হবে।”
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনের উপদেষ্টা পরিষদ এমন এক সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নিল যখন দেশে চার দিন ধরে কোনো ধরনের সরকার নেই। চারিদিকে বিরাজ করছে অরাজক পরিস্থিতি, পুলিশবিহীন দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ করছে শিক্ষার্থী-স্বেচ্ছাসেবকরা।