
অসহায় নারীটি পরম অবজ্ঞায় কাঁদে,
নীরবে-নিভৃতে কাঁদে।
কখনো কারণে, কখনো বা অকারণে কাঁদে।
কখনো নিজের জন্য,
কখনো প্রিয় মানুষগুলোর জন্য কাঁদে।
কখনও আবার নিজ অস্তিত্ব কিংবা অবস্হান
পদপাতে ভূলুণ্ঠিত পিষ্টকরণে কাঁদে।
যদিও ভূলোকে বিচরণরত মানবরূপী
মনুষ্য প্রজাতি সম সম্মানে ভূষিত,
তথাপি অনাদি-অনন্ত
ঝরা পত্র-পল্লবীর ন্যায়
চুরমুর করে ভাঙার উপভোগ্য উপকরণ
কিংবা উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত
তাচ্ছিল্যে ঘেরা নারীটি-ই!
মূল্যহীন নারীটি-ই
সুক্ষণে বা কুক্ষণে সুখের জন্ম দেয়,
কখনো কখনো বিষাদেরও জন্ম দেয় বৈকি!
সারাজীবন উৎসর্গ করেও
মূল্যহীন নারীদের জানাই হয় না
সে আসলে কার কাছে অমূল্য ছিল?
কার সে সম্পদ ছিল,
নতুবা কার সম্পত্তি হিসেবে
ব্যবহৃত হয়েছিল চিরকাল!
বাবা, স্বামী নাকি সন্তান?
তবুও মূল্যহীন নারীরা চারপাশ সামলায়
প্রিয়জনদের আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে,
সে বাঁচতে চায়।
কখনো মূল্য নিয়ে, কখনো মূল্যহীন হয়ে
তবুও সে ভালো থাকতে চায়।
নিজের জন্য,
প্রিয় মানুষগুলোর জন্য।
জীবন তো একটাই।
পৃথিবীর সকল মূল্যহীন নারীরা
বেঁচে থাকুক প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার নিয়ে,
একান্তই নিজের মতো করে!
আর
অসম্মান ও মূল্যহীন করে রাখা মানুষগুলো?
প্রাণী হওয়ার সাথে সাথে
তারাও মানুষ হয়ে উঠুক!