
কেন নিজেকে বিপন্ন করো দুহাতে ঠেকাতে ঝড়!
এই যে সাধ করে বুকে রত্ন-সিংহাসন গড়েছো যার
কবিতায় দিয়েছো প্রাণনিকষিত সুর
হাতের বাঁশিটিও দিয়েছো তুলে এ হাতে
এই যে গানে গানে দিচ্ছো ভরে যৌথ দুপুর,
এও তো সত্য, উদ্যান সুরম্য হলেই বাতাসের নৃত্য
ছন্দ তালের সমান লয়ে হয় না শিল্পিত!
তচনচ করে বলে ঝড়কে রেখো না বৈরী ভাবনায়!
কখনো খুন হলে কেউ, সবাই যাকে দুর্ভাগা বলি-
উত্তীর্ণ হয়তো সে-ই ছিলো প্রেমের পরাকাষ্ঠায়;
ঘাতিনীর খোঁপায় গুঁজে দেয়া, হয়তো তারই ওই সার্থক কলিটি!
সেই কবে কাকে আমি খুন করে এসেছি,
খুনের আগেও তাকে করেছি জখম খুনের অধিক;
তারপরও কতবার এসেছে প্রেম, হেঁটেছি ঘোরভরা নতুন পথ;
অভিসারে কত তীর তীর্থ হয়ে গেছে,
আবার বালুকায় ঢেউ ভেসে দেখি, সবই ডুবোচর…!
ঝড়রাতের এই গল্পঝড় বদলে দেবে তোমাকে সব সম্পর্কভাবনা,
মনের পরিগ্রহও ঘটাতে চাইবে নতুন আবেগে সঘন আরেক ঘনঘটা!
আমার চোখের মণিতে নিজের ছায়ার দস্তুর বদলও হয়তো দেখে ফেলেছো!
তবু জেনে রাখো, সব ঝড়ই জোড়াতালির যা রেখে যায়,
জীবন বৃক্ষ হয়ে ওঠে সে অগ্নিকুসুম ভারের শাখায় শাখায়…