
বাংলাদেশের পথেমুক্তিযুদ্ধস্বাধীনতা
স্বাধীনতার পথে- ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করে বলেন যে, শাসনতন্ত্র প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ৩ মার্চ সকাল ৯টায় ঢাকার প্রাদেশিক পরিষদ ভবনে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে। পিপিআই’র উদ্ধৃতি দিয়ে দৈনিক পাকিস্তান লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ৩ মার্চের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবানের সিদ্ধান্তকে ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বাগত জানিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ মহল এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করে নি।
নয়াদিল্লীর প্রতি বেতার মাধ্যমে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে গণচীন জানায়, ভারতের আক্রমণাত্মক নীতির পরিণামে যদি পাক-ভারত উপমহাদেশে শান্তি বিঘ্নিত হয়, তা হলে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব ভারতকেই বহন করতে হবে। পিকিং বেতারে পাকিস্তানি জনগণের প্রতি চীনের সমর্থনের বিষয় পুনরায় ঘোষণা করে বলা হয় যে, চীনা জনগণ পাকিস্তানের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পাকিস্তানি জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে।
বিলুচিস্তানের বিশিষ্ট নেতা নবাব আকবর খান বুগতি নারায়ণগঞ্জ আদমজি জুট মিলে এক শ্রমিক সমাবেশে বলেন, ৬ দফা ও ১১ দফা আদায়ের সংগ্রামে বেলুচিস্তানের সাধারণ মানুষ যে কোনও ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, বেলুচিস্তানের জনগণ বহু দোষারোপ না করে আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসায় ব্রতী হোন।’
পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো পেশোয়ারে পাকিস্তান মুসলিম লীগ প্রধান খান আব্দুল কাইয়ুম খান এবং জমিয়তুল উলেমা-ই-ইসলামের জেনারেল সেক্রেটারি মওলানা মুফতি মাহমুদের সঙ্গে শাসনতান্ত্রিক প্রশ্নে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে তিনি নিরাশাবাদী নন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সৌজন্যে।