স্বাধীনতার পথে- ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১
জামাতে ইসলামের আমীর মওলানা আবুল আলা মওদুদী বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সকলেরই অধিবেশনে অংশগ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেন, সংখ্যালঘিষ্ঠ ছোট বড় সব পার্টির নিজস্ব শাসনতান্ত্রিক খসড়া পেশ করা উচিত নয়। কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ দলেরই খসড়া পেশ করা উচিত এবং খসড়ার যে সব অংশ দেশের ইসলামী চরিত্র, সংহতি, গণতান্ত্রিক নীতি, মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক ন্যায় বিচারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ তা গ্রহণ করা উচিত। আর যা পরিপন্থী সেগুলোর তীব্র বিরোধিতা করা উচিত।
কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান মিয়া মমতাজ মোহম্মদ খান দৌলতানা প্রেসিডেন্ট জেনারেল মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভবনে সাক্ষাৎ করেন। তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কিছু সময় অতিবাহিত করেন।
পাকিস্তান জমিয়তে উলামা-ই-ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মওলানা মুফতি মাহমুদ জাতীয় সংহতি ও অখণ্ডতার স্বার্থে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে ধৈর্য ও সহনশীলতা বজায় রাখার আহবান জানান। ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের ব্যাপারে পিপলস্ পার্টির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, জাতীয় অখণ্ডতার স্বার্থ যাতে উন্নিত হয় রাজনৈতিক নেতাদের তেমন ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, শেখ মুজিব তাঁর ৬ দফা কর্মসূচির সমন্বয় সাধন করবেন।
সিন্ধু জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রে বাংলাদেশের ন্যায় সিন্ধুসহ অন্যান্য প্রদেশেও পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদানের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য জাতীয় পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমদ খান জামিলী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জাতীয় পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহবান জানানো হয় যে, প্রতিটি প্রদেশের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান সম্বলিত এমন শাসনতন্ত্র প্রদান করতে হবে যাতে এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে শোষণের অভিযোগ আনতে না পারে। বিবৃতিতে দ্রুত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়।