
“৬০০ বছর আগে ভাঙা হয়েছিল রাম মন্দির, এটাই বাস্তব”
রূপসী বাংলা কলকাতা ডেস্ক: ‘ভাঙা হয়েছিল রাম মন্দির, এটাই বাস্তব। এই বিষয়টা কখনই এড়ানো সম্ভব নয়।” রাম মন্দির ইস্যুতে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর মতে, একসময় সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল রাম মন্দির। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।
সম্প্রতি, সাংবাদিক হেমন্ত শর্মার লেখা দুটি বই ‘অযোধ্যা কি চশমাদিদ’ ও ‘যুদ্ধ মে অযোধ্যা’ নামের দুটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, ”এই বিতর্ক থেকে রাম মন্দিরের ধ্বংস হওয়ার ঘটনাকে কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যায় না। আমরা যখন এই বিতর্ক নিয়ে কথা বলব, তখন আমাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে ৬০০ বছর আগে ঠিক কী ঘটেছিল।”
একদিকে যখন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা, সেবিষয়ে আলোচনা চলছে, তখনই এই মন্তব্য শোনা গেল বিজেপি সভাপতির গলায়। আগামী ২ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি চাইছে সব পক্ষই। মন্দির গড়ার জন্য বিজেপি যে সংবিধান মেনেই সবরকমের চেষ্টা চালাবে, সেকথা আগেই জানিয়েছে দল। এবার অমিত শাহ মনে করিয়ে দিলেন, ১৬০০ শতকে রাম মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, একসময় হিন্দুদের মধ্যে সবথেকে বেশি আরাধ্য দেবতা ছিলেন রাম। তাই তাঁর মন্দির ছিল গ্রামে গ্রামে। অযোধ্যায় রাম মন্দির ধ্বংস হয়ে গেলেও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সেসব মন্দির আজও রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অমিত শাহের আগে গত বুধবার মোহন ভাগবত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রাম মন্দির গড়ে তোলা উচিৎ। আর তার জন্য মুসলিম সহ দেশের সব মানুষের উচিৎ সাহায্য করা। তিনি আরও বলেন, এই রাম মন্দির নিয়ে কোনও রাজনীতিও হওয়া উচিৎ নয়। তাঁর মতে, এভাবে বিতর্ক চলতে থাকলে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ আরও বাড়বে। যদি শান্তিপূর্ণভাবে এটা করা হয়, তাহলে বারবার মুসলিমদের দিকে আঙুল ওঠাটাও বন্ধ হয়ে যাবে।