কোমল দাস
হে ক্ষুধা,
সিক্ত মন্থনের সোনালি চিত্তে বুভুক্ষু তাণ্ডবীয় দুর্ভিক্ষের প্রভাতে
হৃদয়ের অলিন্দে সহস্র বিলাপে নিষ্কৃতি খুঁজি শ্মশানের আগুনে,
জঠরের প্রত্যাপে কুর্নিশ মস্তকে কেঁদে ফিরি তোমার
ঘাত প্রতিঘাতে
স্বর্ণাভ ডোরে ভ্রান্তির নাশিতে ললাট দোষায় তীব্র প্রত্যাপে
তথাপিও ক্ষরণের বশে উধাও তুমি অদৃশ্য কালেতে।
তোমার তাণ্ডবের ভয়ার্ত রোষে জগৎ চলে বিভ্রান্ত আবেশে
প্রলয়ের ভয়ংকর সাইরেনে বুভুক্ষু বিলাপের জৌলুশে
সম্ভ্রমের আবেশের বশে ভেসে যায় কামনার বন্দরে।
অবান্তর চক্রে আসা যাওয়া ফেরে বেঁধেছো তুমি মিছে করিডোরে
তোমার বিস্ফোরিত থাবায় ঝরা শংকিত স্বপ্নেরা—
দমে গিয়েও ফের মাথা চেড়ে ওঠে।
গ্লানির ক্ষতে পরতে পরতে তৃপ্তি আস্বাদি মজলিসে।
হে ক্ষুধা,
উদাত্ত আত্মার করুণ ইশারায় গ্রন্থনালীর বর্বরতায়
সৃষ্টির অজস্র অন্তিকার খোঁজে বিনম্র উপাসি তোমারে,
সকল দুর্ভিক্ষের ক্ষুধা মেটাও তুমি, তোমার তেজে ঊষা মরুভূমি
তুমি বিনে আর এমন বান্ধব—এ জগতে আর কেইবা আছে?
তাইতো তোমায় প্রণামী হে ক্ষুধা
নিবারিত হও সদা জীব কুলে।