
তুহীন বিশ্বাস
মেঘাচ্ছন্ন ভাগ্যাকাশে নক্ষত্রপুঞ্জ অন্ধকারে নিরুদ্দেশ
অদৃশ্য ইস্পাত দেয়ালে ঝুলছে আকাঙ্ক্ষার শব্দগুলো,
আবার, সকল ব্যর্থতার স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে মহাশূন্যে
লক্ষ্যের কক্ষপথে উত্তপ্ত লাভার পর্বতমালায় অবরুদ্ধ।
তিনবেলা ভাতের জীবনযুদ্ধে পোড় খায় মানুষগুলো;
মাঝেমধ্যে উনুন অভিশপ্ত হয়ে ওঠে করিমনের কাছে,
বুভুক্ষুর কাছে শতভাগ হেরে যায় নৈতিকতার মানদণ্ড
বেলা শেষে স্বরবর্ণে পরাস্ত আজিজুলের ভাগ্যই দায়ী।
নদীর তীরে নীরবে বসে থাকে পারাপারের অপেক্ষায়
ওপার নিবাসে এখনো নিবন্ধন পায়নি হতভাগা জরিনা,
হিসাবের খাতায় মনোযোগী হয়েছে মসজিদের ইমাম
অস্পৃশ্য বিচারিক আদালতে অধিষ্ঠিত সময়ের নিয়ন্ত্রক।
তবুও জেনেশুনে আমরা নির্লজ্জ হই অপরাধের ভাণ্ডারে
মানুষ মানুষের রক্তস্নানে উচ্ছ্বসিত হয় উন্মাদের মতো,
দশচক্রে ভুত হয়ে স্রোতের সাথে নেমে যাই বিষাক্ত নদে
যেখানে ধ্বংসের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় প্রতিমুহূর্তে।