ইউক্রেনে নো-ফ্লাই জোন নিয়ে তৃতীয় পক্ষকে সতর্ক করলেন পুতিন
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের দশম দিন গড়িয়েছে। আজ শনিবার দেশটির উত্তর, পূর্ব, ও দক্ষিণ এলাকায় বড় ধরনের যুদ্ধ হয়েছে। এ অবস্থায় নিজ দেশের আকাশসীমায় বিমান চলাচলে ন্যাটোর কাছে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্ত ন্যাটো এ প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। জোটটির দাবি, ইউক্রেনের আকাশসীমায় নো-ফ্লাইজোন ঘোষণা করলে যুদ্ধ গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ন্যাটো ইউক্রেনের প্রস্তাব না রাখলেও এ ব্যাপারে কড়া নজর রেখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিষয়টি নিয়ে তৃতীয় পক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, ইউক্রেনের ওপর নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা হলে বিষয়টি ‘সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ’ হিসেবে বিবেচনা করবে মস্কো। খবর এপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ নিজ দেশের নারী পাইলটদের সঙ্গে একটি আলোচনায় অংশ নেন পুতিন। এ সময় তিনি বলেন, ইউক্রেনে নো-ফ্লাইজোন নিয়ে যেকোনো পদক্ষেপ- সরাসরি হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে। এটি আমাদের বিমান পরিষেবা সদস্যদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
পুতিন আরো বলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সেটিকে আমরা সামরিক সংঘাতে তাদের অংশগ্রহণকারী হিসেবে দেখব। এবং তারা কোন জোটের সদস্য তা বিবেচনা করবো না।
এদিকে ইউক্রেনে নো-ফ্লাই জোনের প্রস্তাবে ন্যাটো সম্মত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জোটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, আজ থেকে যারা মারা যাবে, তারা শুধু আপনাদের কারণেই মারা যাবে। কারণ, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের কৌশলগত অবস্থানগুলোতেই আঘাত করছে।
নো–ফ্লাই জোনের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। তার ভাষ্য, ইউক্রেনে নো–ফ্লাই জোনে ঘোষণা হলে দেশটি নিজেই ভুক্তভোগী হবে। কারণ, দেশটির যুদ্ধবিমানগুলো রুশ সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।