
এবার ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র আতিক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এ আদেশ দেন।
এর আগে, আজ সকালে আতিকুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে উত্তরা পশ্চিম থানায় করা ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তাজুল। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে ডিএনসিসির তৎকালীন মেয়রের নাম আছে।
কার্যক্রম শেষে পুলিশ এজলাস থেকে বের হয়ে নিকটবর্তী লিফট দিয়ে নিচে নামাতে চাইলে এজলাসের বাইরে দাঁড়ানো কয়েকজন দাবি করেন, তাকে যেন হেঁটে নামানো হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মাঝের সিঁড়ির লিফট ব্যবহার করে তাকে আবার হাজতখানায় নিয়ে যান।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি আতিকুল ইসলাম বনানী থানার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে আটক রয়েছেন।
মামলার বাদী রেদোয়ান হোসেন অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার আমির কমপ্লেক্স এলাকার সড়কে একদফা আন্দোলনে অংশ নেওয়া জনতার ওপর এজাহারভুক্ত আসামিদের নির্দেশে অস্ত্রধারীরা অতর্কিতে গুলি চালান। এসময় বাদীর বাবা তাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
তদন্তে দেখা যায়, আতিকুল ইসলাম মামলার পলাতক আসামি ও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
পরে আদালতের নিচে আতিকুল ইসলামের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন বলেন, ‘১৭ মামলায় আটক হয়ে আতিকুল ইসলাম কারাগারে। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছেন। পরে মেয়র হন। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’



