
ভারতের উত্তরপ্রদেশে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
ভারতের উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায় মূক-বধির অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গণধর্ষণ করে জোরপূর্বক গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই নারীর।
পরিবারের অভিযোগ ওই নারী কিছুদিন আগে শ্বশুরবাড়ির অশান্তি এড়িয়ে বাবার বাড়িতে এসে থাকছিলেন। গ্রামেই দুই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সেই সম্পর্ককে ব্যবহার করে তারা বারবার তাকে ধর্ষণ করে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি ফাঁস হতেই অভিযুক্তরা পরিবারকে ভয় দেখাতে শুরু করে। একদিন বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে একটি মাঠে প্রথমে গর্ভপাতের ওষুধ খাইয়ে দেয় ।তারপর ফের ধর্ষণ করে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।
পরিবারের লোকজন অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
কিন্তু এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আবারও সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা বলছে যোগী সরকারের সময়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক নারকীয় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসনের উপস্থিতি সত্ত্বেও অপরাধীরা নির্ভয়ে এ ধরনের কাজ করছে। বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে যোগী সরকারের শাসনে নারী নিরাপত্তা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন। শুধু শহর নয়, প্রত্যন্ত গ্রামেও নারীরা ভয়ঙ্কর আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বিষয় নয়। বাস্তবে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে অপরাধীদের সাহস বাড়তে থাকবে। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষও ক্ষুব্দ। তাদের বক্তব্য, পুলিশ গ্রেফতার করলেও তা যথেষ্ট নয়। তারা চান দ্রুত বিচার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন নৃশংস অপরাধ করার সাহস না পায়।
রাজ্যটির হামিরপুরের ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠছে—নারীর জীবন-মর্যাদা রক্ষায় আসলে কতটা কার্যকরী যোগীর প্রশাসন।