প্রধান খবরযুক্তরাষ্ট্র

ইলহান ওমরকে আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে বললেন ট্রাম্প

সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমরকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইলহান ওমর মিনেসোটা থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

ট্রাম্প গত শনিবার ইলহান ওমরের (ডি-মিন) সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তাকে আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বেশ কয়েকবার ইলহানকে আক্রমণ করেছিলেন।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘তার ফিরে যাওয়া উচিত!’, এ ছাড়া পোস্টের সঙ্গে ইলহান ওমরের একটি সভায় দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও জুড়ে দেন ট্রাম্প। অনুষ্ঠানটি কখন হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়, তবে ওমরের বক্তব্যের ভিডিওটি কমপক্ষে কয়েক সপ্তাহ ধরে ডানপন্থী সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে।

ওমরের জন্ম সোমালিয়ায়। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ লাগার পরে ৮ বছর বয়সে তিনি পালিয়ে আসেন।

এরপর তিনি ১৯৯৫ সালে কেনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে চার বছর কাটানোর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ২০০০ সালে তিনি আমেরিকান নাগরিকত্ব লাভ করেন।
লরা লুমারসহ ট্রাম্পের ‘এমএজিএ’ (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) সমর্থকেরা দ্রুত তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চ্যানেলগুলোতে ট্রাম্পের পোস্টটি ছড়িয়ে দিয়েছেন। এটাই প্রথম নয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেও ওমরকে আমেরিকা ছাড়তে বলেছেন।

তিনি সেপ্টেম্বরে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনি জানেন আমি সোমালিয়ার প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছি? আপনি কি তা জানেন? আমি তাকে বলেছিলাম তিনি কি তাকে (ইলহান ওমর) ফিরিয়ে নিতে চান? সোমালিয়া প্রধান বলেছিলেন, আমি তাকে চাই না।’

ইলহানের কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও বহুবার ইলহান ওমরকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি ২০২০ সালের প্রচারের শেষ মাসগুলোতে তাকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশ কিভাবে চালাব, তা শেখাচ্ছেন?’

তিনি দ্য ডিন ওবাইদাল্লাহ শোতে ইলহাম বলেন, ‘আমার কোনো চিন্তা নেই। কারণ আমি জানি না তারা কিভাবে আমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে এবং আমাকে নির্বাসিত করবে।

’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি এমনকি এটাও জানি না, কেন এটা এতো ভয়ংকর হুমকি। আমি আর সেই ৮ বছরের শিশু নই, যে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছিল। আমি বড় হয়েছি, আমার বাচ্চারাও বড় হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, “প্রতিদিন সকালে উঠে প্রতিটি আলোচনায় ‘আমরা ইলহানকে দেশ থেকে বের করে দেব’—এমন কথা বলাটা খুবই অদ্ভুত।”

সূত্র : পলিটিকো।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension