
মামদানি নির্বাচিত হওয়ায় জন্মস্থান উগান্ডায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া
জন্মসূত্রে উগান্ডার নাগরিক জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন—এই খবরে কিছু উগান্ডাবাসী উল্লসিত হলেও, অনেকেই এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না।
৩৪ বছর বয়সী বামপন্থী মামদানি মঙ্গলবার নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র হন। তিনি উগান্ডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ও সাত বছর বয়স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
নির্বাচিত হওয়ার খবরে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার মেকেরের বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুটা উত্তেজনা দেখা যায়, যেখানে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মামদানির বাবা একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ছিলেন।
মনোবিজ্ঞানের ২২ বছর বয়সী ছাত্র অ্যান্টনি কিরাবো বলেন, ‘জোহরানকে সেখানে দেখে আমার মনে হচ্ছে আমিও সফল হতে পারি।’
তিনি এএফপিকে বলেন, ‘এটি আমাকে আনন্দিত এবং আমার দেশের জন্য গর্বিত বোধ করায়, কারণ এটি দেখায় যে উগান্ডা কিছু ভালো নেতা তৈরি করতে পারে।’ তিনি জানা, তিনি আশা করেন এটি পূর্ব আফ্রিকার এই দেশে আরো পর্যটকদের আসতে উৎসাহিত করবে।
তবে অনেকেই মামদানি সম্পর্কে বা একজন উগান্ডার নাগরিক যে গত এক শতাব্দীর মধ্যে নিউইয়র্কের কনিষ্ঠতম মেয়র হয়েছেন, সে সম্পর্কে কিছুই শোনেননি।
অন্যরা আশা করছেন, মামদানির বিজয় উগান্ডার নেতাদের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয় হবে, কারণ তারা জানুয়ারিতে তাদের দেশে একটি সম্ভাব্য উত্তেজনাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে ৮১ বছর বয়সী ইউয়েরি মুসেভেনি সপ্তম মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন।
নির্বাচনে মুসেভেনির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪৩ বছর বয়সী ববি ওয়াইন মামদানিকে ‘আন্তরিক অভিনন্দন’ জানিয়েছেন।
ওয়াইন এক্সে লিখেছেন, ‘উগান্ডা থেকে, আমরা আপনার উদাহরণ থেকে আনন্দিত এবং শক্তি লাভ করি, কারণ আমরা এমন একটি দেশ গড়ার কাজ করছি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তাদের সম্পদ ও পটভূমি নির্বিশেষে তাদের মহত্তম স্বপ্নগুলো উপলব্ধি করতে পারে।’
কাম্পালার সিটি পার্কে এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৮ বছর বয়সী সংগ্রহ কর্মকর্তা জোসেফ সেন্দাগিরে বলেন, তিনি আশা করেন উগান্ডা নিউইয়র্কের নির্বাচন থেকে ‘শিক্ষা নেবে’।
তিনি বলেন, ‘উগান্ডার উচিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সংস্কৃতি গ্রহণ করা, প্রার্থীদেরকে যেকোনো পদে ন্যায্যভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া, তাদের সঙ্গে সমান আচরণ করা এবং দিনের শেষে, যেন সেরা প্রার্থীই জেতে।’
অন্যান্য উগান্ডাবাসী মামদানির গরিববান্ধব নীতিগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মেকেরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বছর বয়সী আইনের ছাত্র ওয়েন মুবালিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি তার ধনীদের ওপর কর আরোপ করে যারা পর্যাপ্ত সম্পদ রাখে না তাদের সুবিধার জন্য কাজ করা খুবই ভালো নীতি। এসব মানুষেরা এই ধরনের পদে আসীন হওয়ায় এটি খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি সত্যিই মনে করি এখানে শেখার কিছু আছে এবং এটি আমাকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে।



