দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি পাচ্ছেন হিন্দুরাই তৈরি হবে রাম মন্দির…
রূপসী বাংলা কলকাতা ডেস্ক: টানা শুনানির পর অযোধ্যা মামলার শুনানি বেরিয়ে এলো শনিবার দিন। এই নিয়ে আজ শনিবার দিন সকাল সাড়ে 10 টায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের। অনেকেই মনে করেছিলেন, পরের সপ্তাহে আসতে পারে এই রায়। তবে এ বিষয়ে দেরি করতে নারাজ ছিলেন প্রধান বিচারপতি। যেমন কী ভারতের ইতিহাসে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল অযোধ্যা জমি মামলার রায়। প্রায় এক শতাব্দীর ও বেশি পুরনো মামলা হল অযোধ্যা।
11:25:24 হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বলেন, এই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।
11:17:44 ৩-৪ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিসেষ স্কিম তৈরি করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যাতে বিতর্কিত জমি মন্দির পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় ও অন্য পাঁচ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া হয়।
11:16:16 বিতর্কিত জমি বাদে অযোধ্যায় ৫ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। সেখানে তৈরি হতে পারে মসজিদ: সুপ্রিম কোর্ট।
11:15:50 অযোধ্যা মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত জমি পাচ্ছেন হিন্দুরাই, তৈরি হবে রাম মন্দির।
10:59:44 ১৮৫৫ সাল পর্যন্ত প্রমান পাওয়া যায় যে হিন্দুরা ওই স্থানের অন্দরেও প্রবেশ করেছে: সুপ্রিম কোর্ট
10:57:18 ১৮৫৬ পর্যন্ত নমাজ পড়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। পরবর্তীকালে প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করা হত সেই মসজিদ: সুপ্রিম কোর্ট
10:54:16 হিন্দুরা মনে করে ডোমের নীচেই ছিল রামের জন্মস্থান। এটা একটা বিশ্বাস: সুপ্রিম কোর্ট
10:51:15 কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘোষণা হতে চলেছে অযোধ্যা মামলার রায়। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, কোনও ফাঁকা জমিতে তৈরি হয়নি বাবরি মসজিদ। জমিতে কোনও একটা নির্মাণ ছিল, যা ইসলামিক নয় বলেও মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০-এ এলাহবাদ হাই কোর্ট একটি রায় দেয়। তাতে বলা হয় ওই বিতর্কিত জমকিতে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। নির্মৌহী আখড়া, রাম লাল্লা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
প্রথমে তিনজন মধ্যস্থতাকারী দেওয়া হয় এই মামলার জন্য। পরে, গত ৬ অগস্ট থেকে প্রত্যেকদিন এই মামলার শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপরির বেঞ্চ। ১৬ অক্টোবর সেই শুনানি শেষ হয়।
১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যায় তৈরি হয় বাবরি মসজিদ। হিন্দুদের কিছু সংগঠন দাবি করতে শুরু করে মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে এই মসজিদ। ১৮৫৩ সালে প্রথম এই ইস্যুতে বিরোধ বাঁধে।
১৮৫৯ সালে ব্রিটিশরা একটি প্রাচীর দিয় হিন্দু ও মুসলিমদের প্রার্ধনার জায়গা আলাদা করে দেয়। এভাবেই ৯০ বছর ধরে প্রার্থনা চলছিল। ১৯৪৯-এ প্রথম এই জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতে যায়। সেইসময় রামের মূর্তি স্থাপন করা হয় মসজিদের ভিতরে।
১৯৮৪-তে রাম মন্দির গড়ার দাবি নিয়ে হিন্দুদের একটি কমিটি তৈরি হয়। তিন বছর বাদে একটি জেলা আদালত নির্দেশ দেয়, যাতে ওই বিতর্কিত এলাকা হিন্দুদের প্রার্থনার জন্য খুলে দেওয়া হয়। মুসলিমরা তৈরি করে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি
এরপর ১৯৮৯ তে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ওই স্থানে। ১৯৯০ তে রাম মন্দির তৈরির সমর্থনে রথযাত্রা করেন এলকে আদবানী। ১৯৯২ -তে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয় কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
উল্লেখ্য, রায় ঘোষণার আগে সব রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। অযোধ্যা-সহ গোটা উত্তরপ্রদেশ মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার চাদরে। নিরাপত্তার প্রবল কড়াকড়ি। অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার আগে দুর্গের চেহারা নিয়েছে মন্দিরনগরী। সব রাজ্যকে সতর্ক করে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। নজর রাখতে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে গেছে চার হাজার আধাসেনা। শুধুমাত্র অযোধ্যা জেলাতেই মোতায়েন হয়েছে ১২ হাজার পুলিশ।