
টাইব্রেকারে জাপানকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া
নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে প্রথমবার কোনো ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গেল। সেখানেও খেলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। আর পেনাল্টি শুটআউটে জাপানকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে ক্রোয়েশিয়া।
নাল্টি শুটআউটে প্রথম শট নেন জাপানের তাকুমি মিনামিনো। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। তবে স্পটকিক থেকে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে নেন নিকোলা ভ্লাসিচ। জাপানের কাউরো মিতোমাও মিস করেন দ্বিতীয় শট। ব্যবধান ২-০ বানান মার্সেলো ব্রজোভিচ। তৃতীয় শটে গোল করে জাপানের আশা জিইয়ে রাখেন তাকুমা আসানো।
ক্রোয়েশিয়ার মার্কো লিভায়া মিস করলে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা বাড়ে জাপানের। কিন্তু দলীয় অধিনায়ক মায়া ইয়োশিদার চতুর্থ শটও ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। মারিও পাসালিচ ঠান্ডা মাথায় জালে বল পাঠিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে পৌঁছে দেন কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ব্রাজিল অথবা দক্ষিণ কোরিয়া।
আল জানুব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লিড নেয় এশিয়ান জায়ান্ট জাপান। ৪৩তম মিনিটে জাপানের হয়ে গোলটি করেন দাইজেন মায়েদা।
শর্ট কর্নারের পর ডিবক্সে ক্রস বাড়ান রিতসু দোয়ান। ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে মায়েদার কাছে বল পাঠান অধিনায়ক মায়া ইয়োশিদা। জটলার ভেতর থেকে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়ান সেল্টিক তারকা মায়েদা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জাপান।
তবে বিরতির পরই ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান ইভান পেরিসিচ। ৫৫তম মিনিটে দেয়ান লভরেনের ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে গোল করেন টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা পেরিসিচ।