প্রধান খবরবাংলাদেশ

পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন নারীর ক্ষমতায়নে এগিয়ে আছে

রূপসী বাংলা ঢাকা ডেস্ক রিপোর্ট:  নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠায় ‍আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বেগম রোকেয়া শাখাওয়াতের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া শুধু নিজেকে তৈরি করেন নি, গোটা নারী জাতিকে আলোর পথ দেখিয়ে গেছেন। সেই পথ ধরেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।  আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি- চেষ্টা করেছি মেয়েদের শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে। মেয়েরা যেন প্রাইমারি থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে, মেয়েরা যেন চাকরি করতে পারে, সেজন্য বর্তমান সরকার ৬০ ভাগ কোটা ব্যবস্থা চালু করে। পাশপাশি নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।  যেখানে নারী-পুরুষ সমান অধিকার দেওয়া হয়।  যদিও ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে তা তুলে দেয়। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তা সংশোধন করে পুনরায় চালু করা হয়।

এ সময় মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন নারীর ক্ষমতায়নে এগিয়ে আছে। আমেরিকার মত উন্নত দেশে কোনও নারী এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হতে পারে নি।  সেদিক থেকে আমাদের বাংলাদেশ অনেক দেশ থেকে এগিয়ে আছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত নারীদের তিনি উদ্ধার করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন।  তারা যেন স্বনির্ভর হতে পারে সেজন্য তিনি কোটা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। স্বাধীনতার পর সকলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করেন।  বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা সম্পূর্ণ অবৈতনিক করে দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সরকার মেয়েদের শিক্ষা সম্পূর্ণ অবৈতনিক করে দিয়েছেন। পাশাপাশি মেয়েরা যেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায় সেজন্য বিভিন্ন ধরনের স্টাইপেন্ড ও বৃত্তি সহায়তা দেওয়া হয়।  পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে শতকরা ৭৫ ভাগ মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা এরইমধ্যে অনেক আইন করেছি ও পদক্ষেপ নিয়েছি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসে মাতৃত্বকালিন ছুটি ৩ মাস থেকে বাড়িয়ে ৪ মাস করে দেয়। এখন তা আরও বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। মায়েদের সামাজিক স্বীকৃতি হিসেবে সন্তানের পরিচয়পত্রে পিতার নামের পাশে মাতার নাম যুক্ত হয়েছে।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension