
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের দাবী তোলা নেতৃত্বকে গ্রেফতারের দাবীতে নিউ ইয়র্কে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের দাবী তোলার ধৃষ্টতার প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কে নাগরিক সমাজ আয়োজিত মানববন্ধন ও পথসভা হয়েছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গেল ১৫ নভেম্বর আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভায় ভাস্কর্য অপসারণ দাবী করা বক্তা এবং নেতৃত্বকে গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়। এছাড়া পথসভায় সরকারের প্রতি দাবী জানানো হয় বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় সূর্য সন্তানদের ভাস্কর্য দেশের প্রতিটি জেলোয় উপজেলায় স্থাপন করার জন্য।
প্রতিবাদ সমাবেশের সমন্বয় করেন নাট্যকার ও সাংবাদিক তোফাজ্জল লিটন।
মানববন্ধন ও পথসভায় অ্যাক্টিভিস্ট মুজাহিদ আনসারী বলেন, আমরা লালনের ভাস্কর্য, হাইকোর্টের সামনের ভাস্কর্য এবং সনাতন ধর্মের মূর্তি ভাঙ্গার প্রতিবাদ করেছি সরকার কোনও কর্ণপাত না করে মৌলবাদীদের আস্কারা দিয়েছেন। তাই এখন এইসব ধর্মন্ধরা জাতিন জনকের ভাস্কর্য অপসারনের দাবি তোলার মতো স্পর্ধা দেখাতে পারে। তিনি তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
যুক্তরাষ্ট্র মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনও দলের না, তিনি মানেই পুরো বাংলাদেশে।
নিউ ইয়র্ক প্রজন্ম ‘৭১-এর সভাপতি শিবলী সাদিক বলেন, এই সব কাঠমোল্লাদের আস্ফালন দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। তাদেরকে এখনি রুখে না দিলে তারা দেশটাকে পাকিস্তান আফগানিস্তান বানিয়ে ছাড়বে।
বাংলাদেশ ক্লাব ইউএস-এর সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক হায়দার বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাবার আহ্বান জানাই জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।
আরও বক্তব্য রাখেন গোলাম কিবরিয়া, অনু বিভাস মল্লিক। প্রতিবাদ ও পথসভায় সংহতি জানান কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ইয়াসমিন ফাত্তাহ ঝর্ণা, গোলাম হোসেন কুটি, মহানগর আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সহ সভাপতি এম উদ্দিন আলমগীর, সাংবাদিক আব্দুল হামিদ এবং শাহ্ জে চৌধুরী।❐
বাংলাদেশ ক্লাব ইউএস-এর সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক হায়দার স্বদেশ থেকে পালিয়ে আমেরিকায় আয়েশী জীবন কাটাতে কাটাতে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চান। চমৎকার! মাহফুজুল হক হায়দারের কি গ্রিনকার্ডধারী?
অ্যাক্টিভিস্ট মুজাহিদ আনসারী লালন ভাস্কর্য, হাইকোর্টের ভাস্কর্যর কথা বললেন। অ্যাক্টিভিস্ট মুজাহিদ আনসারী কি জানেন না লালন ভাস্কর্য ২০০৮ সালে এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভাঙা হয়েছিল? ১২ বছর আগের কথা। জানতে নাও পারেন। হাইকোর্টের সামনে জাস্টিস লেডির ভাস্কর্য কেন সরানো হলো সেটা তো জানেন? হেফাজতে ইসলামের দাবির মুখে এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে এই জাস্টিস লেডির ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এখন আপনারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে প্রতিবাদ করছেন।
শিবলী সাদিককে বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আপনাদের আওয়ামী লীগ সরকার এসব কাঠমোল্লাদের আস্ফালন করতে ইন্ধন দিয়েছে বলেই তারা আস্ফালন করছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবুর সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। বঙ্গবন্ধু কোনও দলের না, তিনি মানেই পুরো বাংলাদেশ। কিন্তু আপনার দল হেফাজতের কথামতো লালন ভাস্কর্য, জাস্টিস লেডির ভাস্কর্য সরিয়ে দিয়েছিল, তখন আপনারা কিছু বলেন নি।
ছবিতে প্ল্যাকার্ড-পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে থাকা আপনাদের বলছি, বাংলাদেশে আসুন। এখানে এসে রাজনীতি করুন। আপনাদের মতো সময়ের সাহসী সন্তানদের আপনাদেরই এখন দুঃখিনী মাতৃভূমির খুব প্রয়োজন।