
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় বরাদ্দ বেড়েছে ১ লাখ
হৃদরোগ, কিডনি রোগ, পক্ষাঘাত, ক্যানসারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় বরাদ্দ বেড়েছে। আগে এক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করা যেত। এখন তা ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২১ নভেম্বর প্রণীত সরকারি গেজেটে বলা হয়েছিল, জটিল রোগে আক্রান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করা যাবে। সেই গেজেট সংশোধন করে এবার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুচিকিৎসায় এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সোমবার (৫ জুন) বিকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, গতবারের যে নীতিমালা ছিলো তা সংশোধন করা হচ্ছে। মুমূর্ষু অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ও অপারেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে জেলা-উপজেলা-বিভাগীয় ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো। সেক্ষেত্রে অবশ্যই মন্ত্রণালয়ের অনুমোদম নিতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নগদ বা চেকের মাধ্যমে এই অর্থ পাবেন না। সরকারি হাসপাতালের প্রধান বা তত্ত্বাবধায়ক, বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক বা অধ্যক্ষ কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত কোনো ব্যক্তি এ আয়-ব্যয়ের দিকটি দেখভাল করবেন।
মন্ত্রী জানান, সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাধারণ রোগের চিকিৎসায় আগে বছরে জনপ্রতি ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সংশোধিত নীতিমালায় তা ২ লাখ টাকায় উন্নীত করা হবে।
মোজাম্মেল হক আরও জানান, নতুন এই চুক্তির মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে আবেদন করতে হবে না কোথাও। তবে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা-এর সপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ পেশ করতে হবে হাসপাতালে।