শাহানাজ পারভীন শিউলী
আমার মস্তিষ্কের নিউরনগুলো ভক্ষণ করছে বেজন্মা শব্দরা,
বাজখাই দুপুরের দাঁতাল রৌদ্রের মতো নিষ্পেষিত করে কামুক যৌবন।
শব্দরা আমার চেতনাকে বারংবার ধর্ষণ করে,
কখনও প্রত্যক্ষ, কখনও পরোক্ষ, আবার কখনও মনোধর্ষণে,
তারা অন্বেষণ করে নারীর দগদগে শরীর,
যুগল পয়োধর, কুন্তলের সুঘ্রাণ।
অবাঞ্ছিত শব্দরা ধর্ষিত নারীর বুকের উপর নৃত্য করে,
মানবতার আর্তচিৎকার তাদের চিত্তকে আন্দলিত করে,
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে মদিরামত্ত কামুক রসে।
শব্দরা কোনো কবিতা সৃষ্টি করতে আসে না,
তারা দৃষ্টিহীন, বধির, বর্ণচোরা।
তবে এক সময় এসেছিল—
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে, জ্বলন্ত লাভায়,
নজরুলের ডাগর অক্ষিতে, ঝাঁকড়া চুলে।
কবিতা সৃষ্টি করেছিল সুকান্তের পোড়া রুটিতে, প্রীতিলতার জঠরে, ক্ষুদিরামের চেতনায়।
তারপর কোথায় যেন সব হারিয়ে গেলো বিষাদের ভারে,
শত বছর কেটে গেল…
আর দেখা মেলেনি কখনও,
শব্দরা এখন পড়ে থাকে মাদকাসক্তে,
শব্দ থেকে সৃষ্টি হয় না আর কোনো কবিতার পঙক্তি।