প্রবাস
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির ঢাকা সিটির মেয়র নির্বাচন প্রত্যাখ্যান
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস এবং আতিকুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অতিউল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, আমরা এই প্রহসনের নির্বাচন মানি না। এই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার হচ্ছে ভোট চোর সরকার, ভোট ডাকাত সরকার। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের মানুষের ভোটে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, এই স্বৈরাচারি সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
গিয়াস আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভোট চুরি এবং মানুষের অধিকার হরণের মাধ্যমে ভূলুণ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, এই সরকার মানুষের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু এবং দেশের শত্রু। এই সরকার হচ্ছে ভারতের তাবেদারি সরকার। এই সরকারের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করে লাভ নেই।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মানুষ বাকশালী সরকারের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা এই নির্বাচন মানি না। তিনি নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। সেই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।
মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান বৃষ্টি এবং প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
একই সঙ্গে তিনি নতুন নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন। তারা বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আগামীতে এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত নয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে তারা বিএনপির চেয়ারপার্স এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। তারা বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়া মুক্তি হলেও গণতন্ত্র এবং দেশ রক্ষা পাবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ভিপি জসীম, পারভেজ সাজ্জাদ, জাহাঙ্গীর সরোয়ার্দী, আমানত হোসেন আমান, রেজাউল আজাদ ভুইয়া, ওয়াহেদ আলী মন্ডল, জীবন সফি, সোহাগ আশরাফ, কাওসার দেওয়ান, এনাম আহমেদ, মোহাম্মদ মহসীন, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শাহীন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হক লেবু, মিজানুর রহমান, আবুল কালাম, আব্দুর রহিম, মেসবাহ উদ্দিন, তাহমীনা আক্তার, নাসিম আহমেদ, মোতাহার হোসেন, আরবাজ আহমেদ, এমদাদুল ইসলাম, ইয়াকুব আলী, মনির খান, ইকবাল আনসারি।