
আবারও জেগে উঠেছে মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি, পালাচ্ছেন স্থানীয়রা
ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে অগ্ন্যুৎপাতের পর লাভার স্রোত বেড়িয়ে আসছে। এতে হুমকিতে পড়েছে হাজারো মানুষের জীবন। এরইমধ্যে আসেপাশের গ্রামগুলো ফাঁকা করে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। গ্রামবাসীকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিএনএন জানিয়েছে, পূর্ব জাভা প্রদেশ থেকে দুই হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর সেখানকার আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। বাজানো হচ্ছে জরুরি সাইরেন। সরকারী উদ্ধার তৎপরতার জন্য বসে না থেকে অনেকেই ছুটে পালিয়েছেন আশ্রয়ের খোঁজে। এ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে পূর্ব জাভা অঞ্চলে ছাই-মেঘে ছেয়ে যায় এবং মুষলধারে মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হয়। এএফপির এক রিপোর্টার ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, বৃষ্টির সঙ্গে অগ্ন্যুৎপাতের ছাই মিশে কাদার মতো হয়ে ঝরছে। প্রায়ই সক্রিয় হয়ে ওঠে এই আগ্নেয়গিরি।
মাত্র এক বছর আগেও সেখানে ভয়াবহ লাভার স্রোত নেমে এসেছিল। এতে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ফলে আবারও উদ্গীরণ শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তাছাড়া ছাইয়ের ধোঁয়ায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে সেখানে। ফোনেও সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্বেচ্ছাসেবকরা বাঁশের ঢোল পিটিয়ে এবং সাইরেন বাজিয়ে গ্রামবাসীদের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় দুর্যোগ মোকাবেলা এজেন্সি বিএনপিবি বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ২০ হাজারের বেশি মানুষকে সরকারের তরফ থেকে ফেস মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। রাজধানী জাকার্তা থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মাউন্ট সেমেরু। তবে সর্বোচ্চ বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ কিলোমিটার। এরমধ্যে থাকা সবাইকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
২৭ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া ‘রিংস অব ফায়ার’-এর উপরে থাকা একটি দেশ। প্রায়ই ছোট-বড় ভূমিকম্পের জন্য পরিচিত এই রিংস অব ফায়ার এলাকা। জাভা দ্বীপের সবথেকে উচু আগ্নেয়গিরি এই সেমেরু। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ফিট উঁচুতে অবস্থিত।