
এম এ জিন্নাহ
তুমি আমি স্তব্ধ কোনো এক রাজপ্রাসাদে
দীর্ঘ কবিতার পুরনো পাণ্ডুলিপি হাতে দীর্ঘক্ষণ,
যেখানে মেঘ ছুঁতো সোনালী স্থাপত্যের চূড়া;
কিংবা গির্জার পিরামিডের ছায়ায় বসে
মাথা নুয়ে দিয়ে অনাথ শৈশবের অতৃপ্ত রহস্যের মতো
কল্পনায় অঙ্কন করে যাব আমাদের দৃষ্টিনন্দন প্রেম।
স্তব্ধ নিশীথিনী, নীরব অরণ্য, শৈবালের পরিত্যক্ত পথ
সঙ্গে এই মেঘাচ্ছন্ন অন্তরীক্ষ এই রঙধনু
সকলেরই সম্মুখে ঠোঁটের নিশ্চয়তার চুমুটুকু জানে
কতটুকু আগ্রহবোধে দোদুল্যমান হয়ে উঠেছে
প্রেম-পরশের ভারী শিকল, আমাদের বন্ধন।
কলঙ্কের প্রায়শ্চিত্তে দিগ্বিদিকে পালিয়ে যাওয়া
এই নির্মম পাপের ভাগ আমাদের না হোক,
তুমি হও একান্ত পরিচর্যাময় পবিত্র কোনো এক নক্ষত্র;
যার দীপ্তিতে জাজ্বল্যমান হবে সমস্ত জীবনী।
পুষ্পের সভাঘরে এই অরণ্যঘেরা পথে পথে
নক্ষত্রের বৈচিত্র্যময় সভা-সমাবেশের স্থলে বসে
কেবলই আমরা পূর্ণ স্থাপন করে যাব শাশ্বতকালের
স্মরণে একটি পবিত্র প্রণয় সংযোগ।
আমি বারংবার হৃদয়ের পুরনো স্থাপত্যের গায়
এঁকে যাব তোমাকে,তোমার অস্তিত্বকে
বারংবার এঁকে যাব আমার মধ্যে লুকিয়ে থাকা তোমাকে।
তুমি কেবল শেষ নিশ্চয়তাটুকু নিয়ে
আমাদের পুরনো সংকল্পের দিকে স্থির রবে।