
টাইব্রেকে স্পেনকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল মরক্কো
ডার্ক হর্স হিসেবে কাতার বিশ্বকাপে আসা। কিন্তু নিজেদের নিজেদের শক্তি দেখাচ্ছে মরক্কো। সেই শক্তি দিয়ে এবার স্পেনকে রুখে দিল আফ্রিকার দলটি। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট ছিল গোলশূন্য ড্র। অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ থাকে গোলশূন্য। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে।
আগেই ধারণা করা হচ্ছিল ছোট পাসে টিকিটাকা ফুটবল খেলবে স্পেন। ওভাবেই ছক সাজান স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকে। এটা জেনেই পাল্টা কৌশল সাজান মরক্কোর কোচ। স্পেন পায়ে যতই বল রাখবে রাখুক। বিপদসীমায় আসার আগে বল কাড়তে যাবে না মরক্কো। বরং সুযোগ পেলে কাউন্টার অ্যাটাকের গোলের সুযোগ তৈরি করব মরক্কো। হয়েছেও তাই।
এই কৌশল মেনে চলেন আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েচরা। প্রথমার্ধে স্পেন বল দখলে রাখে ৬৯ শতাংশ। আক্রমণ তুলেছে অনেক। কিন্তু মরক্কোর পোস্টে শট নিতে পারেনি একটিও। অবশ্য মরক্কো গোল পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। কারণ স্পেনের পোস্টে দুই শট নেয় মরক্কো।
ম্যাচের শুরু থেকে স্পেনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে মরক্কো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো দুর্দান্ত খেলেছে তারা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে প্রথম আক্রমণে গিয়েছিল স্পেন। কিন্তু পেদ্রি গাভিকে পাস দিতে গেলে তা ক্লিয়ার করেন মরক্কোর ফুটবলার। ম্যাচের ১২ মিনিটে স্পেনের পোস্টে ফ্রি-কিক নেন হাকিমি। তবে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বের হয়ে যায় বল।
২৬ মিনিটে অ্যাসেনসিওর শট চলে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে। ৩৩ মিনিটে গোলরক্ষক সিমনের কল্যাণে বেচে যায় স্পেন। মাজরাউইকে শট কোনো মতে সেভ করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ৪০ মিনিটে স্পেন আক্রমণে উঠলেও মরক্কোর রক্ষণে আটকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল একই চিত্র।
ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ফ্রি কিক পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ স্পেন। ৫৩ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আক্রমণে ওঠে স্পেন। কিন্তু গাভিকে ফাউল করায় ফ্রি কিক পায় স্পেন। দানি ওলমোর শট রুখে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বাউনু।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে আবারও স্পেন ফ্রি-কিক দুর্দান্ত ভাবে রুখে মরক্কোকে বিপদ মুক্ত করেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বাউনু। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি স্পেন। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান আশরাফ হাকিমি। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় মরক্কো।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে সুযোগ আসে স্পেনের সামনে। তবে নিকো উইলিয়ামসের নেওয়া শট আটকে দেন সোফিয়ান আমরাবাত। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করে দু’দল। তবে শেষ পর্যন্ত গোল না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোল পায়নি কোনো দল। ফলে টাইব্রেকে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য।