নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া হুঁশিয়ারি
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরাইলের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে বুধবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলকে লক্ষ্যবস্তু করার বিরুদ্ধে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ৭ অক্টােবর থেকে ইসরাইলি হামলায় হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরানের শীর্ষ কমান্ডারদের মৃত্যর ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকেও বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করে ইসরাইল। এর জেরে গত মঙ্গলবার ইসরাইলে প্রতিশোধমূলক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
বুধবার মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা থেকে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সাফাই গেয়ে মার্কিন দূত বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দায় নেই। সব সহিংসতার জন্য ইরান দায়ী।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আমাদের পদক্ষেপগুলো প্রতিরক্ষামূলক ছিল। ইরানি সরকারকে তার কর্মের জন্য দায়ী করা হবে। আমরা ইরান বা তার মিত্রদের- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নিশানা বা ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সতর্ক করছি’।
থমাস-গ্রিনফিল্ডের ভাষ্য, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির জটিল হওয়ার পেছনে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস জড়িত। পরিষদের উচিত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করা এবং তাদের কর্মকান্ডের জন্য জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘আমাদের একটি যৌথ দায়িত্ব আছে, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার জন্য এবং পরিষদের অনেক রেজুলেশন লঙ্ঘনের জন্য আইআরজিসির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত’।
গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেবানন সীমান্তে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইসরাইল। বিমান হামলার পর নৌ এবং স্থল অভিযান শুরু করেছে এর মধ্যে। ইসরাইলের দাবি, হিজবুল্লাহর হামলায় সীমান্ত এলাকার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই তারা এই আক্রমণ শুরু করেছে।