পাকিস্তানে বৈশাখী উৎসব-২০২৩, তিন হাজার ভারতীয় আমন্ত্রিত
পাকিস্তানের লাহোরে আয়োজন চলছে বৈশাখী উৎসব-২০২৩-এর। ইতোমধ্যেই বৈশাখি মেলায় যোগ দিতে ইচ্ছুক প্রায় তিন হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে পাকিস্তান। আজ রবিবার ভারত থেকে আড়াই হাজারেরও বেশি শিখ তীর্থযাত্রীর আগমনের আশা করছে লাহোর কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিপিভি) এর একজন মুখপাত্রের মতে, যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ অন্যান্য দেশ থেকে হাজার দুয়েক শিখ তীর্থযাত্রী আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকা থেকে, বিশেষ করে সিন্ধু এবং খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ৫ সহস্রাধিক শিখ এতে উৎসবে অংশ নিতে পারেন।
লাহোরেরর নানকানা সাহেবে দশ দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব শুরু হয়েছে আজ। উৎসবের মূল অনুষ্ঠান নির্ধারিত রয়েছে ১৪ এপ্রিল। যা অনুষ্ঠিত হবে গুরুদ্বার পাঞ্জা সাহেবে। এ তথ্য দিয়ে পাকিস্তানের ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড-এর ওই মুখপাত্র আরো বলেন, পাকিস্তান সরকার (নয়া দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশন) হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন সহ ২৯৬০ পর্যটককে ভিসা দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় পাকিস্তানে আসা পর্যটকের সংখ্যা ইস্যু করা ভিসার সংখ্যার চেয়ে কম হয়।
সূচি অনুযায়ী, তীর্থযাত্রীরা পায়ে হেঁটে ওয়াঘা-আটারি স্থলপথে পাকিস্তানে প্রবেশ করবেন এবং সড়কপথে নানকানা সাহেবের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ১০ এপ্রিল তারা গুরুদ্বারা সাচা সৌদা (ফারুকবাদ) এ যাবে এবং একই দিনে সড়কপথে নানকানায় ফিরে আসবে।
১১ এপ্রিল তারা অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের সাথে নানকানা সাহেবের অন্যান্য স্থানীয় গুরুদ্বার পরিদর্শন করবে। ১২ এপ্রিল তারা সড়কপথে গুরুদ্বার পাঞ্জা সাহেবের (হাসনাবদল) উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ১৩ এপ্রিল তীর্থযাত্রীরা পাঞ্জা সাহেবে থাকবেন এবং ১৪ এপ্রিল গুরুদ্বার পাঞ্জা সাহেবে “ভোগ অখণ্ড পাঠ সাহেব ও নগর কীর্তন” শীর্ষক মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তার পরের তিনদিনও রয়েছে নানা আনুষ্ঠানিকতা। সবশেষে ১৮ এপ্রিল পুর্ণার্থীরা ওয়াঘা হয়ে ভারতে ফিরে আসবেন।
সূত্র : ডন