
পুতিন ও উইটকফের সাক্ষাতে রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি আলোচনার প্রসঙ্গ
রাশিয়া ও ইউক্রেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শুরুর দিকের কয়েক সপ্তাহ বাদে আর কোনো সরাসরি আলোচনায় অংশ নেয়নি। তবে ক্রেমলিন জানিয়েছে, শুক্রবার মস্কোতে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তিন ঘণ্টার বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে।
স্টিভ উইটকফ এখন পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আলোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। যুদ্ধের অবসানের জন্য ট্রাম্প একটি সমঝোতা চাইছেন এবং এরই অংশ হিসেবে উইটকফ ইতিমধ্যেই পুতিনের সঙ্গে তিনবার দীর্ঘ বৈঠক করেছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্রেমলিনে পুতিন ও উইটকফ একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাস্যোজ্জ্বলভাবে ইংরেজিতে কিছু কথা বিনিময় করছেন এবং আলোচনায় বসছেন।
ক্রেমলিনের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক সহকারী ইউরি উশাকভও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘তিন ঘণ্টার এই আলোচনাটি ছিল গঠনমূলক এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ। এই আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন ইস্যুসহ একাধিক আন্তর্জাতিক বিষয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থান আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনায় বিশেষভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
তবে এখন পর্যন্ত উইটকফ বা হোয়াইট হাউস এই বৈঠকের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, এই সপ্তাহে ইউরোপীয় ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবনার কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। এসব প্রস্তাবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের স্থবির করে দেওয়া এবং ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অধীনে রেখে শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ক্রিমিয়া রাশিয়ারই থাকবে এবং জেলেনস্কি তা বোঝে।’
অন্যদিকে রাশিয়ার দখলে থাকা ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রস্তাব ইউক্রেন এখনো প্রত্যাখ্যান করছে।