আদালতে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ভিডিও ধারণকারী কিশোরী যা বলল
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার দৃশ্য ভিডিও ধারণকারী কিশোরী বলেছে, তার (ফ্লয়েড) জন্য বেশি কিছু করতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে আছি।
আসামি ডেরেক চৌভিনের বিচারের দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে বর্তমানে ১৮ বছর বয়সী ডারনেলা এমন মন্তব্য করেন। ফ্লয়েডকে হত্যার সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড় করে তোলা হত্যাকাণ্ডে এদিন চার তরুণ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আদালতকে এই কিশোরী জানায়, আমি জর্জ ফ্লয়েডকে প্রাণভিক্ষা চাইতে দেখেছি। তাকে নিজের বাবা, ভাই, চাচা ও চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তুলনা করে সে। কারণ তারা সবাই কৃষ্ণাঙ্গ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় বর্ণবৈষম্য ও নীতিই প্রধান্য পাচ্ছে।
সোমবার আসামি চৌভিনের বক্তব্য শোনা হয়েছে। গত বছরের মে মাসে মিনিয়াপোলিশে গ্রেফতারের সময় অন্তত ৯ মিনিট হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড় চেপে ধরে হত্যা করেন এই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা।
কৌঁসুলিরা বলছেন, এটিই তার মৃত্যুর বড় কারণ।
তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চৌভিন। এ ঘটনায় বাকি আসামি টৌ থাও, জে আলেক্সান্ডার ও থমাস লেনকেও চলতি বছরের শেষ দিকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন চার কিশোর। সারা সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ক্যামেরা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। নামের আদ্যাংশ দিয়ে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
ডারনেলা জানায়, ৯ বছর বয়সী চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি কাপ ফুডস শপে হাঁটছিলাম। তখন পুলিশের লোকজন জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতার করতে আসে।
‘আমি দেখলাম—আতঙ্কিত একজন মানুষ প্রাণভিক্ষা চাচ্ছে। তার কষ্ট হচ্ছিল। এটা খুবই খারাপ কাজ হচ্ছে ভেবে আমি ভিডিও করা শুরু করি।’
এ সময় জর্জ ফ্লয়েডকে বলতে শুনেছি—‘আমি ‘শ্বাস নিতে পারছি না’। সে খুব ভয়ে ছিল, তার মাকে ডাকছিল।
এই হত্যাকাণ্ড দেখার পর নিজের জীবন বদলে গেছে বলে জানায় ডারনেলা। জানাল, ‘যখন আমি জর্জ ফ্লয়েডের দিকে তাকাই, তখন আমি আমার বাবা, ভাই, চাচা ও চাচাতো ভাইদের দিকে তাকাই। তারা সবাই কালো।
সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে শোনা গেছে ডারনেলাকে।❐