কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন– মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলিয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন গাজীর ছেলে কৃষক হাসেম গাজী (৫৫) ও বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর জলিলের ছেলে ভ্যানচালক রেজাউল ইসলাম (৪৫)। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রতিপক্ষের আতাহার আলী ও তার লোকজন এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তারা হাসেম গাজীকে গুলি করেন। এ সময় রেজাউলও গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মিরপুর থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাহার আলীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।