
অ্যাম্বাসেডর সেতুতে পুলিশ-অবরোধকারী মুখোমুখি
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ অ্যাম্বাসেডর সেতুতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে বিক্ষোভকারী ও পুলিশ। টানা পঞ্চম দিনের মতো অ্যাম্বাসেডর সেতু অবরোধ করে রেখেছে কানাডার কভিড-১৯ টিকা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। গত শুক্রবার কানাডার আদালত বিক্ষোভকারীদের সেতু অবরোধ তুলে নিতে আদেশ দেয়ার পর পুলিশি তৎপরতা বাড়ে। খবর রয়টার্স
কানাডার সর্বদক্ষিণের নগরী উইন্ডসরের এ সেতুর মাধ্যমে দুই দেশে আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। স্থল বন্দরটি দিয়ে নিজেদের মোট রফতানির ৭৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় কানাডা। পণ্য সরবরাহের মূল মাধ্যম অবরুদ্ধ অ্যাম্বাসেডর সেতু। দৈনিক প্রায় ৮ হাজার ট্রাক যাতায়াত করে এ সেতু দিয়ে। যা সমস্ত আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের এক চতুর্থাংশ।
টিকা বিরোধী ট্রাক চালকদের অবরোধে বন্ধ রয়েছে ব্যস্ততম এ আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরটি। এ পরিস্থিতিতে অবরোধ তুলে নিতে নির্দেশ দেন কানাডার আদালত। আদালত্ আদেশে বলেন, কেউ সেতু অবরোধ করলে ফৌজদারী অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। আদালতের এমন আদেশের একদিন পর শনিবার রাতে উইন্ডসর পুলিশ ২৭ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে।
অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল কেম্পা সিবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যত বেশি দিন ধরে এ আন্দোলন চলবে, লোকদের ধারণা হবে, এটি অবৈধ প্রতিবাদ নয়।
এদিকে সীমান্তে ট্রাক চালকদের অবরোধ দুই দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার। তিনি বলেন, কানাডায় ট্রাক চালকদের টিকা বিরোধী বিক্ষোভে এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর সমাধানে দেশটিকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সমস্যার দ্রুত ও নিরাপদ সমাধান করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই কানাডার সরকারকে করতে হবে।
গত মাসে করোনার বিধি-নিষেধ কড়াকড়ি করে কানাডা সরকার। এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় আসা ট্রাকচালকদের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া তাদের পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা নিতেও বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারি থেকে ফ্রিডম কনভয় নামে বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা পুরো কানাডায় ছড়িয়ে পড়ে।